সম্প্রতি বেশ কিছু অতি অাধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে “ইন্টারনেট অব থিংস” (IoT) সাড়া ফেলেছে। “ইন্টারনেট অব থিংস” (IoT) হলো একটি আন্তসম্পর্ক যুক্ত একাধিক যন্ত্র বা ডিভাইসের একটি নেটওয়ার্ক যেখানে প্রতিটি ডিভাইস একে অন্যের সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে, এমনকি এই যন্ত্রগুলো “ক্লাউড” নেটওয়ার্ক থেকে তথ্য ব্যবহার করতে সক্ষম ।
এই প্রযুক্তিতে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত যন্ত্রগুলো সাধারণত সেন্সর এবং সফটওয়্যার এর সাথে সংযুক্ত হয়ে ব্যবহারকারির প্রযোজন অনুসারে কাজ করে থাকে ।
বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে এরই মধ্যে “ইন্টারনেট অব থিংস” প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাস্টমার সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এর ব্যবহারের ফলে মানুষ থেকে মানুষে বা মানুষ থেকে কম্পিউটারে কোন তথ্য আদান প্রদানের প্রয়োজন হয়না।
ধিরে ধিরে সারাবিশ্বে এই প্রযুক্তির চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এই প্রযুক্তির ফসল অত্যাধুনিক স্মার্ট হোম ডিভাইসের ব্যবহার খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্মার্ট হোমডিভাইসগুলো ওয়ারলেস ব্যবহার করে ব্যবহারকারির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারে । যেমন আপনি আপনার অফিস থেকেই বাসায় থাকা রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করেন তা হল আইওটি টেকনলোজি। বাসার সিকিউরিটি ক্যামেরাকে এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই আপনি বাসায় না থাকা অবস্থায় আপনার দরজার সামনে কেউ সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করছে কিনা তার ছবি এবং এসএমএস পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে রাখতে পারেন । রাস্তা চলতে চলতেই বাসার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন যন্ত্রটিকে চালু করে তাপমাত্রা সহনিয় মাত্রায় সেট করে রাখা সম্ভব। যেন বাসায় এসে অতিঠান্ডা বা অতি গরম সহ্য করতে না হয় ।
আইওটি টেকনোলজির সব চেয়ে ভালো উদাহরন হল স্মার্টওয়াচ এর ব্যবহার। স্মার্টওয়াচ এই টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারির শারীরিক পরিবর্তনগুলোর তথ্য সয়ংক্রিয় ভাবে অন্য ডিভাইসে প্রদান করে। অ্যপেল এবং ফিটবিটের স্মার্টওয়াচ গুলো সয়ংক্রিয় ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে জিপিএস ট্রাক করতে পারে ।
আইওটি টেকনোলজি–র আগের সময়ে যন্ত্র গুলো শুধু মানুষের নির্দেশনা বুঝতে পারতো যার ফলে যন্ত্রপরিচালনার জন্য মানুষের যথাস্থানে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন হত। কিন্তু এখনকার সময়ে এই প্রযুক্তিযুক্ত যন্ত্র গুলো অন্য যন্ত্রের নির্দেশনা বুঝতে পারে এবং সেই অনুসারে কাজ করতে পারে । এর ফলে জীবনযাপন অনেক সহজতর করা এবং উন্নত মানের গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে ।
লেখক;
মো: শহিদুর রহমান