কয়েক দশক ধরে ইউরোপে পোশাক রপ্তানির পরিমাণে শীর্ষে ছিল চীন। এবার দেশটিকে পেছনে ফেলে সে স্থানটি দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রথম ইউরোপে পোশাক রপ্তানির পরিমাণে প্রমবারের মতো শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য দিয়ে তৈরিপোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে এ তথ্য।
২০২২ সালে ইইউর ২৭ দেশে ১৩৩ কোটি কেজি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। চীন রপ্তানি করেছে ১৩১ কোটি কেজি পোশাক। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও চীনের দ্বিগুণ। ২০২১ সালের চেয়ে ২০২২ এ ইইউ পোশাক রপ্তানির পরিমাণের দিক থেকে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২১ দশমিক ২০ শতাংশ বাড়ে। একই সময়ে অর্থাৎ গত বছরে চীনের বেড়েছে ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ১০ হাজার ৩১০ কোটি ডলারের তৈরিপোশাক আমদানি করেছে। ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর ইউরোপের বাজারে পোশাক আমদানি বেড়েছে ২০ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
তথ্য বলছেইউরোপে, রপ্তানি হওয়া পোশাকের পরিমাণে এগিয়ে গেলেও অর্থের হিসাবে এখনো চীনের নিচে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর ইউরোপের বাজারে চীন ৩ হাজার ১৫ কোটি ডলারের তৈরিপোশাক রপ্তানি করে, তাদের রপ্তানি বেড়েছে ১৭ শতাংশ। একই সময়ে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ২৮৮ কোটি ডলারের তৈরিপোশাক। যা ২০২১ সালের তুলনায় ৩৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি।
ইইউতে রপ্তানিতে সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিই সবচেয়ে বেশি।
আল/ দীপ্ত সংবাদ