একে তো ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন, তার ওপর দলের শক্তি–সামর্থ্য ও খেলোয়াড়দের ছন্দ মিলিয়ে ফুটবল পন্ডিতরা ঢের ফেভারিট বলেছিলেন প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি)। তবে মাঠের পারফরম্যান্সেই শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারিত হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাধারীদের মাটিতে নামিয়ে এনে ৩–০ গোলে জিতেছে চেলসি। এ নিয়ে লন্ডনের ক্লাবটির হাতে দ্বিতীয়বার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা উঠল।
বড় মঞ্চে নিজের সেরাটা মেলে ধরলেন কোল পালমার। নিজে করলেন জোড়া গোল, অবদান রাখলেন সতীর্থের গোলে। ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে স্রেফ গুঁড়িয়ে দিয়ে নতুন আঙ্গিকের ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো চেলসি।
নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ৮২ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে রোববারের ফাইনালে ৩–০ গোলে জিতেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। সবগুলো গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। ম্যাচের ২২ ও ৩০ মিনিটে জোড়া গোল করেন পালমার। আর ৪৩ মিনিটে দলের তৃতীয় গোলটি করেন জোয়াও পেদ্রো।
চেলসির সাফল্যে বড় অবদান আছে গোলরক্ষক রবের্ত সানচেসেরও। গোলের জন্য পিএসজি‘র নেওয়া আটটি শটের সবগুলোই সেভ করেন তিনি। যার চারটি ছিলো দুর্দান্ত।
বিরতির পর গোল শোধ তো দূরের কথা, উল্টো খেই হারায় প্যারিসের ক্লাবটি। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে, দশজনের দলে পরিণত হয় তারা। সরাসরি লাল কার্ড দেখেন জোয়াও নেভেস। অথচ ম্যাচের পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। একক আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে পিএসজিই। তাদের বল দখলের পরিমাণ ছিলো ৬৭ ভাগ। চেলসির ছিল ৩৩ ভাগ। তবে চেলসি কোচ এনজো মারেসকা বেশ ভালোভাবেই পিএসজির দুর্বলতা খুঁজে বের করতে পেরেছিলেন।
হাসিব/আল