সম্প্রতি ফেসবুক সান্ডাময়! মরু অঞ্চলের প্রাণী সান্ডা ধরা ও খাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত এক প্রবাসী বাংলাদেশীর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এরপর থেকে এই প্রাণীটি নিয়ে নানা রকম আলোচনা চলছে। তৈরি হচ্ছে মজার মিম, কৌতুক ইত্যাদি।
সান্ডা মূলত এক প্রজাতির তৃণভোজী গিরগিটি, বৈজ্ঞানিকভাবে যাকে বলা হয় ‘Uromastyx’, আর আরবি ভাষায় এর নাম ‘দাব্ব’ (ضبّ)। এটি আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার মরু ও শুষ্ক অঞ্চলে পাওয়া যায়। এদের শরীর শক্ত, লেজ মোটা ও খাঁজযুক্ত, যা আত্মরক্ষায় ব্যবহার হয়। প্রজাতিভেদে দৈর্ঘ্য হতে পারে ২৫ থেকে ৭৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত।
সান্ডা বালুকাময় অঞ্চলে বসবাসকারী প্রজাতিগুলো সাধারণত ধূসর, বাদামি বা পীতাভ রঙের হয়। এদের কিছু কিছু প্রজাতি রং পরিবর্তন করে আশপাশের পরিবেশে মিশে যেতে পারে– যেমন, কমলা, হলুদ বা সবুজ। এরা সাধারণত তৃণভোজী হয়ে থাকে। মূলত গাছের পাতা, ফুল, শুষ্ক ঘাস, বীজ ইত্যাদি খায়।
সূর্যস্নান করে সান্ডা শরীর গরম রাখে। এরা দিনে সক্রিয় থাকে, রাতে ঘুমায়। খুব বেশি ছুটে বেড়ায় না। সান্ডা ডিম পাড়ে। একটি স্ত্রী ইউরোমাস্টিকস ৬ থেকে ৩০টি ডিম দিতে পারে। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে সাধারণত ৬ থেকে ১০ সপ্তাহ সময় লাগে।