ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নীরবতা ভেঙেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শনিবার (১০ আগস্ট) আওয়ামী লীগ সভাপতি তাঁর দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে একটি বার্তা দিয়েছেন। বার্তাটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট–এর এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে।
বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যদি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সেন্ট মার্টিন ও বঙ্গোপসাগর ছেড়ে দিতাম, তাহলে ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।’
‘আমি পদত্যাগ করেছি, যাতে আমার দেশে লাশের মিছিল দেখতে না হয়’ উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের লাশের উপর দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তা হতে দেইনি। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি যদি দেশে থাকতাম তাহলে আরও প্রাণ হারিয়ে যেতো, আরও সম্পদ ধ্বংস হতো। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই আমি দেশত্যাগের মতো অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি শিগগিরই ফিরব, ইনশা আল্লাহ। পরাজয় আমার, কিন্তু জয়ী হয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। আপনাদের সমর্থন নিয়ে আমি এসেছিলাম, আপনারা ছিলেন আমার শক্তি। আপনারা যখন আমাকে চাননি, তখন আমি নিজে থেকে সরে গেছি, পদত্যাগ করেছি।
বার্তায় কর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার যেসব কর্মী সেখানে (দেশে) আছেন, তাঁরা কেউ মনোবল হারাবেন না। আওয়ামী লীগ বারবারই উঠে দাঁড়িয়েছে।’
‘আমার ভাষণ বিকৃত করা হয়েছে’ অভিযোগ করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ শিক্ষার্থীদের আমি আবারও বলতে চায়, আমি কখনোই তোমাদের রাজাকার বলিনি, আমার কথা বিকৃত করে একটি গোষ্ঠী ফায়দা নিয়েছে।
উল্লেখ্য, ছাত্র–জনতা অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ