বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কেউ কেউ বলছেন সংস্কার সম্পাদন না করে নির্বাচন করলে যেই দল ক্ষমতায় আসবে তারা সংস্কার করতে পারবে কিনা সন্দেহ। অথচ সংস্কার হলো রাজনৈতিক অঙ্গীকার। যে দল নির্বাচিত হবে তাদের তো পার্লামেন্টে পাস করতে হবে। এই ধরনের ধোঁয়াশা বিভ্রান্তি তৈরি করে কার লাভ হচ্ছে? গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছি। যে সমস্ত দল ও সর্বশেষ ছাত্র–জনতা আমাদের ভেতরই যদি মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং বাড়ে, ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে তাহলে তো ফ্যাসিবাদ মাথা তোলার চেষ্টা করবেই।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ আয়োজিত গণতন্ত্র ও জিয়াউর রহমান শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বৈপরীত্য থাকলে আপনাদের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা, একটি অবাধ সৃষ্ট নির্বাচন করা। কারণ গত ১৫ বছরে দেশে নির্বাচন হয়নি।’
রিজভী বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকারের কিছু কিছু উপদেষ্টা আছেন, তারা কার পারপাস সার্ভ করছেন আমরা জানি না। তারাও মাঝে মাঝে বিভিন্ন কথা বলার চেষ্টা করছেন। নানা কৌশলে নানা বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য নানা কথা বলা হচ্ছে।’
৮ মাস হয়ে গেছে, সংস্কারে আর কত সময় লাগবে—প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘সংস্কার রাজনৈতিক এজেন্ডা, এটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচিত সরকার সংসদে আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে নেবে।’
নাটোর জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমেদুল হক চৌধুরির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী গোলাম মোর্শেদসহ জেলা বিএনপি নেতারা।
সেমিনারের আগে রিজভীর নেতৃত্বে নাটোর শহরে একটি র্যালি বের করা হয়।
আল