শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আবু নাইম সোহাগকে ফিফার নিষেধাজ্ঞার এক বছর পূর্ণ

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

এক বছর আগে বাংলা নববর্ষের দিনে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে কয়েক বছর তদন্ত করে অসঙ্গতির দায়ে, সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। ফিফার নিষেধাজ্ঞার এক বছর পূর্ণ হলো আজ।

২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাফিফা, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বিষয়ে ৫৪ পাতা রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে তাকে দুই বছরের জন্য সবধরনের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি ৩০ হাজার ২৫০ সুইস ফ্রাঁ, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ লাখ টাকা, জরিমানা করা হয়।

এই ঘটনার পর ১৭ এপ্রিল জরুরি সভায় ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বাফুফে। পাশপাশি সোহাগকে ভবিষ্যতে আর ফুটবল ফেডারেশনে কোনো বিষয়ে সম্পৃক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফিফার রিপোর্টের পর পুনরায় তদন্তের কমিটি গঠন অপ্রয়োজন মনে করে বাফুফের চার সহসভাপতির একজন।

অবশেষে বাফুফের আরেক সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদকে প্রধান করে দশ সদস্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তার কিছুদিনের মধ্যেই বাফুফের চার সহসভাপতির একজন ইমরুল হাসান, তদন্ত কমিটি থেকে পদত্যাগও করেন। ফলে বাকি ৯ সদস্য তদন্ত কাজ শুরু করেন। কমিটি কয়েক দফা সময় বৃদ্ধি করে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ৩১ জুলাই। তার দুই মাস পর গেলো অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাহী কমিটির সভা হয়। নির্বাহী কমিটির সভাতে তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠলেও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ নিষিদ্ধ হয়েছেন আর্থিক বিষয়াদি অসঙ্গতির কারণে। সংস্থার বেতনভুক্ত স্টাফরা এতে শাস্তিপ্রাপ্ত হলেও দায় এড়াতে পারে না প্রতিষ্ঠানের ফিন্যান্স কমিটিও। সোহাগ কাণ্ডের পরও ফিন্যান্স কমিটির আনুষ্ঠানিক সভার খবর তেমন পাওয়া যায়নি।

ঘটনার কয়েক মাস ঘন ঘন জরুরি নির্বাহী সভা হয়েছে। ফলাফল হিসেবে আসে, বহিস্কৃত আবু নাইম সোহাগের স্থলাষিভিক্ত হন, বাফুফে সভাপতির একান্ত সচিব ইমরান হোসেন তুষার। গত এক বছর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তুষার। নতুন জিএসের আচরণ ও কর্মকাণ্ড নিয়ে ফেডারেশন ও ফুটবল সংশ্লিষ্টরা এখনো সেইভাবে প্রশ্ন তোলেনি।

ফিফার তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আবু নাইম সোহাগ, জরিমানা পরিশোধ না করে মামলা করেছিলেন। তার এই মামলা পরিচালনা করছেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি। যিনি কিনা বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের মামলাও দেখভাল করেন। তাতে অনেকের অনুমান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে সোহাগের এখনো হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More