ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে আফগানিস্তান। সেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দুটি ম্যাচই ড্র করেছে জামাল ভূঁইয়ারা। ফলে সিরিজও ড্র হয়েছে। প্রথম ম্যাচ গোলশূন্য আর আজ দ্বিতীয় ম্যাচ ১–১ এর সমতায় শেষ হয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধে আফগানরা এগিয়ে গেলে শেখ মোরসালিনের গোলে সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ। তবে জিততে মরিয়া চেষ্টা করলেও ব্যবধান আর বাড়ানো যায়নি। তাতে দ্বিতীয় ম্যাচটিতে আফগানিস্তানের সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিক দল।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ দল আগের ম্যাচের একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছিল। বিপরীতে আফগানরা তিনজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করেছে। ম্যাচের শুরু থেকে আফগানরা কিছুটা চাপিয়ে খেলার চেষ্টা করে। তবে গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকোর বড় পরীক্ষা নিতে পারেনি। তার মধ্যে ১৬ মিনিটে ডাগ আউটে দেখা দেয় উত্তেজনা। একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন ও আফগানদের হেড কোচ আব্দুল্লাহ আর মুতাইরি। মুতাইরিকে তো বাকিরা ধরে রাখতে পারছিলেন না। বার বারই স্বাগতিকদের টেন্টের দিকে তেড়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। এক পর্যায়ে নেপালের রেফারি এই দুই কোচকে লাল কার্ডে মাঠ ছাড়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
৪৫ মিনিটের মধ্যে আফগানরা কয়েকটি কর্নার পেলেও গোল আদায় করতে পারেনি। ইনজুরি সময়ে বাংলাদেশ এক কর্ণার পায় সেটি শেষ পর্যন্ত বিপদ হয়নি আফগানদের। ফলে দুই লাল কার্ড ও বৃষ্টির আধিপত্যে প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র করেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫২ মিনিটে সফরকারী আফগানিস্তান ম্যাচে লিড নেয়। কর্নার কিক থেকে জাভার সারজা আফগানদের লিড এনে দেন। পিছিয়ে পড়ার ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ফলে তার দশ মিনিটের মধ্যেই বাংলাদেশকে ম্যাচে সমতায় ফেরান তরুণ মিডফিল্ডার মোরসালিন।
গত ম্যাচে সহজ সুযোগ মিস করা উদীয়মান তারকা ফুটবলার শেখ মোরসালিন আজ অবশ্য ভুল করেননি। প্রতিপক্ষের ডি–বক্সের ডান প্রান্ত থেকে বিশ্বনাথ ঘোষের বাড়ানো বলে গোলরক্ষকের সঙ্গে হাত মেলানো দূরত্বে প্লেসিংয়ে শুধু পা লাগিয়ে গোল করেন মোরসালিন। এতে ৬ ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে তিন গোল করলেন এই ফুটবলার।
মোরসালিনের গোলের আগে আরেকটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের বক্সের একটু সামনে ফ্রি কিক পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া কয়েক মিনিট সময় নিয়ে ফ্রি কিকটি মারলেও পোস্টের উপর দিয়ে বল চলে যায় বাইরে।
৬৮ মিনিটে অধিনায়ক জামাল আরেকটি সুযোগ মিস করেন। বক্সের মধ্যে তার শট ডিফেন্ডাররা ব্লক করেন। সেটি অবশ্য বাংলাদেশ দল পেনাল্টির দাবি জানান। নেপালী রেফারি সেই আবেদন নাকচ করে দেয়। এরপরও দুই দল গোলের জন্য প্রাণপন চেষ্টা করে।
তবে আর কোনো গোল না হলে অমীমাংসিতই থেকে যায় ম্যাচের ফল। আগের ম্যাচে গোলশূন্য অবস্থাতে ম্যাচ শেষ হওয়ায় দুই ম্যাচের সিরিজ শেষ হয় ড্রতে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ