দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়েছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এসব আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শুরু করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
৫৫৮টি আপিল আবেদনে বিপরীতে প্রথমদিনে ৯৪ আপিলের ৫৬টি মঞ্জুর, ৩২টি নামঞ্জুর ও ৬টির আদেশ স্থগিত হয়।
আপিলে মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন:
যশোর–১ আসনের মো. আক্তারুজ্জামান (জাতীয় পার্টি), যশোর–২ আসনের এস. এম হাবিবুর রহমান (স্বতন্ত্র), যশোর–৩ আসনের মো. মহিদুল ইসলাম (জাকের পার্টি), যশোর–৩ আসনের মোহিত কুমার নাথ (স্বতন্ত্র), যশোর–৫ আসনের শেখ নুরুজ্জামান (বিএনএম), যশোর–৬ আসনের মো. আজিজুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)।
চট্টগ্রাম–১ আসনের মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (স্বতন্ত্র), চট্টগ্রাম–২ আসনের মোহাম্মদ শাহজাহান (স্বতন্ত্র), চট্টগ্রাম–৮ আসনের আবদুছ সালাম (স্বতন্ত্র), চট্টগ্রাম–১৫ আসনের আব্দুল মোতালেব (স্বতন্ত্র)।
খুলনা–৪ আসনের শেখ হাবিবুর রহমান (তৃণমূল বিএনপি), খুলনা–৬ আসনের মো. শফিকুল ইসলাম মধু (জাতীয় পার্টি)।
মুন্সিগঞ্জ–১ আসনের মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বিকল্পধারা বাংলাদেশ), মুন্সিগঞ্জ–২ আসনের মো. বাচ্ছু শেখ (বিএনএফ), মুন্সিগঞ্জ–৩ আসনের মমতাজ সুলতানা আহমেদ (বিএনএফ)।
কুমিল্লা–২ আসনের এ.টি.এম মঞ্জুরুল ইসলাম (জাকের পার্টি), কুমিল্লা–৫ আসনের সাজ্জাদ হোসেন (স্বতন্ত্র), এ ম তাহের (স্বতন্ত্র)।
ঢাকা–৫ আসনের মো. কামরুল হাসান (স্বতন্ত্র), ঢাকা–২০ আসনের মো. মিনহাজ উদ্দি (বিএসপি)।
পাবনা–২ আসনের বিএনএম প্রার্থী ডলি সায়ন্তীনি।
বগুড়া–৪ আসনের হিরো আলম।
গোপালগঞ্জ–১ আসনের মোহাম্মদ কবির মিয়া (স্বতন্ত্র)।
ফরিদপুর–১ আসনের মোহাম্মদ আরিফুর রহমান (স্বতন্ত্র), মাহমুদা বেগম (স্বতন্ত্র)।
টাঙ্গাইল–২ আসনের মো. ইউনুস ইসলাম তালুকদার (স্বতন্ত্র)।
জামালপুর–২ আসনের মো. জিয়াউল হক জিয়া (স্বতন্ত্র)।
নোয়াখালী–২ আসনের তালেবুজ্জামান (জাতীয় পার্টি)।
কিশোরগঞ্জ–৩ মো. নাসিরুল ইসলাম খান (আওয়ামী লীগ)।
বরগুনা–১ আসনের মো. খলিলুর রহমান (স্বতন্ত্র), ও মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)।
মেহেরপুর–২ আসনের মোখলেসুর রহমান (স্বতন্ত্র)।
রংপুর–২ আসনের বিশ্বনাথ সরকার (স্বতন্ত্র)।
মাদারীপুর–২ আসনের ইউসুফ আলী সুমন (বিএসপি)।
বরিশাল–৬ আসনের মোহাম্মদ শামসুল আলম (স্বতন্ত্র)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ–১ আসনের সৈয়দ নজরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)।
গাইবান্ধা–২ আসনের শাহ সারোয়ার কবীর (স্বতন্ত্র)।
মোননয়ন বাতিল হয়েছে:
টাঙ্গাইল–৫ আসনের খন্দকার আহসান হাবীব (স্বতন্ত্র), টাঙ্গাইল ৬ আসনের সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ
(স্বতন্ত্র),ও কাজী এটিএম আনিছুর রহমান বুলবুল (স্বতন্ত্র)।
নেত্রকোণা ১ আসনের মো. ছমীর উদ্দিন (জাকের পার্টি), নেত্রকোনা–২ আসনের সুব্রত চন্দ্র সরকার (স্বতন্ত্র)।
চট্টগ্রাম–৪ আসনের মোহাম্মদ ইমরান (স্বতন্ত্র), চট্টগ্রাম–৫ আসনের মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (স্বতন্ত্র), ও স্বপন কুমার সরকার (স্বতন্ত্র)।
যশোর–৫ আসনের মো. হাবিবুর রহমান (জাকের পার্টি), যশোর–৬ আসনের হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম (স্বতন্ত্র), বগুড়া–৭ আসনের মো. আসাফুদ্দৌলা (স্বতন্ত্র), জুলফিকার আলী (স্বতন্ত্র) ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান মিলু (স্বতন্ত্র)।
জামালপুর–২ আসনের মো. আব্দুল হালিম মন্ডল (জাকের পার্টি)।
মুন্সীগঞ্জ–২ আসনের সোহানা তাহমিনা (স্বতন্ত্র)।
ময়মনসিংহ–১০ আসনের মোহাম্মদ আবুল হোসেন (স্বতন্ত্র)।
খুলনা–৪ আসনের এস. এম. মোর্ত্তজা রশিদী দারা (স্বতন্ত্র)।
রংপুর–২ আসনের মো. জিল্লুর রহমান (বিএনএফ)।
সিদ্ধান্ত হয়নি, কক্সবাজার–১ আসনের সালাহ উদ্দিন আহমেদ (আওয়ামী লীগ), সিলেট–২ আসনের মো. আব্দুর রব (তৃণমূল বিএনপি), ঢাকা–১২ আসনের খোরশেদ আলম খুশু (জাতীয় পার্টি) ও কুষ্টিয়া–১ আসনের মহা. ফিরোজ আল মামুনের (স্বতন্ত্র)।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র নিয়ে রিটার্নি কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করার সময়সীমা শেষ হয়। পাঁচ দিনে নির্বাচন কমিশনে ৫৬১টি আপিল জমা পড়েছে।
এ নির্বাচনে অংশ নিতে সারা দেশের ৭৪৭ স্বতন্ত্রসহ মোট দুই হাজার ৭১৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৩১টি বাতিল ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্র বাতিলের হার ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর বৈধ মনোনয়নপত্রের হার ৭৩ দশমিক শূন্য আট শতাংশ।
এসএ/দীপ্ত নিউজ