আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় পার্টি নির্বাচন চায় না। এই সরকারের অধিনেই নির্বাচন চান। কিন্তু নির্বাচন কালীন সময় সমস্ত ক্ষমতা থাকবে নির্বাচন কমিশনের হাতে এমন কথা বলেছেন বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক কাজী মামুনূর রশিদ।
শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায়, সিংগাইর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিতরের মাঠে, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের, ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পল্লিবন্ধু হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ রক্তপাতহীন একট গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। কিন্তু সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরে তাকে জেল খানাই নিয়েছিল। সে কারনে ১৯৯১ সালে নির্বাচনের সময় তাকে জেল খানায় থেকে নির্বাচন করতে হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশ বেতার কিংবা টিভিতে জাতীর উদ্দেশে একটি বক্তব্য দিতে পারেন নি। জাতীর এই ক্রান্তি কালে জেল থেকেই তিনি নির্বাচন করেছিলেন। সেই নির্বাচনে তিনি একক ভাবে ৫টি সংসদ আসনে নির্বাচিত হয়েছিল। এতে কি প্রমাাণিত হয়নাই সে মানুষের ভালোবাসার এক জন মানুষ ছিলেন। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে জেল খানায় রেখেছিলেন। হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ৫টি আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরেও তাকে শপদ পরতে দেওয়া হয়নি। এটার নাম যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমরা চায় না। কারন পল্লিবন্ধু হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর উপরে যে অবিচার নির্যাতন করেছে সে কারনে আমরা সরকারের তত্ত্বাবধায়ক অধিনে নির্বাচন হক সেটা চাই না।
কাজী মামুনূর রশিদ আরো বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি সুষ্ট নিরপক্ষ নির্বাচন কামনা করছি। তবে বাংলাদেশের মানুষ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ভোট বিহীন সরকার আর চায় না। এদেশের মানুষের এখন গণদাবী তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে পছন্দের নেতকে নির্বাচিত করা। সে জন্য আগামী নির্বাচনে মানুষ যাতে নিজেদের ভোট নিজের হাতে দিয়ে তাদের পছন্দের মনুষকে নির্বাচিত করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক গোলাম সারোয়ার মিলন, যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, মৃত্যুবার্ষিকীর প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির সিংগাইর উপজেলার সাবেক সভাপতি আবুল বাশারসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
জাহিদুল হক চন্দন/ আল/ দীপ্ত সংবাদ