কুষ্টিয়ায় রাস্তায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের দেখলে পিটিয়ে মেরে ফেলার নির্দেশনা দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় এক যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম। এছাড়া ওই বক্তব্যের ভিডিও তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই ভিডিও দেখা গেছে।
রফিকুল ইসলাম কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বানের ভাগনে। মিরপুর শহরে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে।
১ মিনিট ২ সেকেন্ডের ভিডিওতে নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যদি কখনও কোনো আওয়ামী লীগকে দেখেন, রাস্তায় পিটিয়ে মারবেন। ওই…বাচ্চারা আমাদের রাস্তায় বের হতে দেয়নি, বাজারে যেতে দেয়নি। আমাদের বাজার পর্যন্ত করতে দেয়নি। এত জঘন্য রাজনীতি করে তারা।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের কাউকে তিনজন একসঙ্গে বসতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমাদের নামে গায়েবি ও নাশকতার মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই অনেক কষ্ট করেছি। তাই আপনাদের অনুরোধ করে বলব, আপনারা দলের ভেতরে কোনো গ্রুপিং করবেন না। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতি করবেন।’
জানা গেছে, গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের নিমতলা বাজারে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রফিকুল ইসলাম। ওই বক্তব্যের ভিডিও তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে। তিনি যখন বক্তব্য দেন, তখন তাঁর সামনে দলের নেতা–কর্মীরা বসে ছিলেন। এ সময় অনেকে হাততালি দেন।
এমন বক্তৃতার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৫–১৬ বছর আমরা যে পরিমাণ নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি, তা ভাষায় বলা যায় না। আমার বিরুদ্ধে ১৫–১৬টা মামলা হয়েছে। বাড়িতে ঘুমাতে দেয়নি। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসতে দেয়নি। নির্যাতনের শেষ নেই। সেই কষ্টের জায়গা থেকে আবেগে এ কথা (পিটিয়ে মারা) বলেছি। আবার এইটুকু না বললেও হয় না, বলতে হয়। নেতা–কর্মীদের ধরে রাখতে গেলে বলতে হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবদুল হক বলেন, ‘বিএনপি এ ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করে না। আমাদের এমন কোনো নির্দেশনাও নেই।’
এসএ/দীপ্ত সংবাদ