দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতার ধারায় থাকলেও কাটেনি ডলার সংকট। আমদানি চাহিদার বিপরীতে এলসি খুলতে না পারার অভিযোগ রয়েছে।এই অবস্থায় আইএমএফের ঋণ ছাড় হলে, ডলার সংকট ভালোভাবে মোকাবিলা সম্ভব হবে বলে মনে করেন, বিশ্লেষকেরা।
রমজানকে সামনে রেখে তেল, চিনি, ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য নিয়ে তিনটি জাহাজ এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। কিন্তু ইউএস ডলারে আমদানি মূল্য পরিশোধ করতে না পারায়, পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। এছাড়া চাহিদা থাকলেও ‘ডলার সংকটে’ আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারার অভিযোগ আছে।
এ অবস্থায় কিছুটা স্বস্তি হয়ে আসতে যাচ্ছে আইএমএফের ঋণ। সংস্থাটি থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সফরের অংশ হিসেবে ঢাকা সফররত আইএমএফের ডিএমডি অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ সম্প্রতি জানান, ৩০ জানুয়ারি ঋণ প্রস্তাব পাস হতে পারে। এরপর ফেব্রুয়ারিতে ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৫ কোটি ডলার ছাড়তে পারে সংস্থাটি।
এই ঋণ পেতে আইএমএফের বিভিন্ন শর্ত পূরণ করে চলেছে সরকার। বিদ্যুতের পর বাড়ছে গ্যাসের দামও, যা কার্যকর হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। রাজস্বসহ আরো নানা খাতে সংস্কার আসতে যাচ্ছে বলে মনে করেন, বিশ্লেষকেরা।
সংস্থাটির দেওয়া ‘শর্ত’ ও ‘পরামর্শ’ অনুযায়ী সংস্কার কাজ মূল্যায়নের পর, বাকি অর্থ মিলবে বিভিন্ন কিস্তিতে। আইএমএফের পথ ধরে অন্যান্য সংস্থাও এগিয়ে আসবে বলে মনে করেন, বিশ্লেষকেরা।