দেশে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের মত মোবাইল অ্যাপস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে একদল তরুণ। তাদের সহায়তা দিচ্ছে বিশিষ্টজনেরা। এটি বাস্তবায়নে সহায়তা দেবে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
দেশে যত্রতত্র গড়ে উঠছে ফার্মেসি। যেখানে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অবাধে বিক্রি হচ্ছে ওষুধ। এমনকি এ তালিকায় আছে নানা ধরনের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিবায়োটিক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবাধে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে শরীরের বিভিন্ন সেলের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে পড়ছে। ফলে এক সময় কোন ওষুধই আর কাজ করবে না।
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অধ্যাপক প্রধান ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেছেন, রোগ জীবানুর সাথে লড়াইয়ের মূল অস্র হল অ্যান্টিবায়োটিক, এটাই যদি ভোতা হয়ে যায় তাহলেতো জীবন বাচাতে পারবেন না। তাহলে দেখা যাবে রোগ ধরা পড়বে কিন্তু ঔষধ দিতে পারবে না কারণ ঔষধ আর কাজ করবে না।
অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে, “হেলথ ইনোভেশন ইকোসিস্টেম; এ ওয়ে ফরওয়ার্ড টু কমব্যাট অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স” শিরোনামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সিআরআইডি। যেখানে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে, রোগীর বিগত দিনের তথ্য পর্যালোচনা করে উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সহায়তা করবে। এটি বাংলাদেশে চালু করার চেষ্টা করছে একদল তরুণ উদ্যোক্তা। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
অ্যাপসটির ব্যবহার তৃণমূল পর্যন্ত নেয়া সম্ভব হলে, দেশে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের মাত্রা কমে আসবে বলে প্রত্যাশা বিশেষজ্ঞদের।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ