ক্যানসারের কাছে হেরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দেশের ছোট পর্দার সমাদৃত অভিনেতা অলিউল হক রুমি।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অভিনেতার ভাগিনা ফয়সাল আহমেদ তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিনেতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন এই অভিনেতা। প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে প্রথমে তাকে ভারতের চেন্নাই নেয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা শেষে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিনেতা।
মৃত্যুর আগে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন অভিনেতা। ক্যানসার জয় করে আবারও আগের মতো স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চেয়েছিলেন তবে হেরে গেলেন ক্যানসারের কাছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক বলছেন, রুমির শারীরিক অবস্থা প্রথমে স্থিতিশীল ছিল। চিকিৎসাধীন হয়ে চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তবে হঠাৎই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তার। শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেল না এই অভিনেতাকে।
রুমির জন্ম বরগুনায়। তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক। পরিবারে তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট রুমি।
১৯৮৮ সালে ‘এখন ক্রীতদাস’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে যাত্রা শুরু হয় রুমির। নাটকে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথম বড় পর্দায় কাজ করেন।
রুমি অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে‘ ঢাকা টু বরিশাল’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘যমজ সিরিজ’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি।
অভিনয় জীবনে রুমি তিন দশকেরও বেশি সময় কাজ করেছেন। গত কয়েক বছর এই অভিনেতা বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাতে বেশি অভিনয় করে আসছিলেন।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ