যশোরে একাকিত্ব আর অভাবের তাড়নায় ১২ বছরের কন্যা সন্তানকে সাথে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী। আত্মহত্যার আগে মেয়েকে ভুলিয়ে রাখতে কিনেছিলেন জন্মদিনের কেক ও কোমল পানীয়। কিন্তু সেগুলো খেতে খেতেই মেয়েকে জোরপূর্বক ট্রেনে হেঁচড়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন নারী।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার পোলতাডাঙ্গা শশ্মানঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লাকি বেগম সদর উপজেলার বড়হৈবতপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর মেয়ে। তার মেয়ের নাম সামিয়া আক্তার মিম (১২)। তারা মা–মেয়ে সাতমাইল বাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ওই নারী তার মেয়েকে নিয়ে রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো। ঢাকা–কামী বেনাপোল এক্সপ্রেসের ট্রেনটি আসা মাত্রই মেয়ের হাত ধরে টেনে হেঁচড়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। এতে তাদের শরীর চিহ্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তারা গিয়ে দেখতে পান রেল লাইনের পাশে একটি প্যাকেটে অর্ধেক খাওয়া জন্মদিনের কেক, কোমল পানীয় ও তাদের একটি ব্যাগ রয়েছে। পরে ব্যাগে থাকা মোবাইল বের করে স্বজনদের দুর্ঘটনার সংবাদ জানানো হয়। খবর পেয়ে ওই নারীর বোন ও বোনজামাই ঘটনাস্থলে আসেন। তারা জানান লাকি বেগমকে তার সন্তানসহ প্রথম স্বামীর কাছ থেকে ছাড়িয়ে এনে বিয়ে করে এজাজুল নামে এক ব্যক্তি। এক বছর আগে তিনিও তাকে ডিভোর্স দেন। পরে বিভিন্ন সময় বিয়ের আশ্বাস দিলেও আর বিয়ে করেনি। এরপর থেকে একাকিত্ব ও অভাবের মধ্যেই তাদের সংসার পরিচালিত হচ্ছিলো।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাচলা যায় ডিবি পুলিশের টিম। পুলিশ জানিয়েছে, একাকিত্ব ও অভাবের কারণেই লাকি বেগম তার মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে । এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধারসহ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জুবায়ের / আল / দীপ্ত সংবাদ