মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৮, ২০২৫
মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৮, ২০২৫

অপহৃত মাদরাসা ছাত্রী গাজীপুরে উদ্ধার, ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

ফেনীর সোনাগাজী থেকে অপহৃত মাদরাসা ছাত্রীকে (১৭) তিনদিন পর গাজীপুরের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী ছাত্রলীগ কর্মী মো. ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার বাসা থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সোমবার মাদরাসা থেকে পরীক্ষা শেষে ভাই ও চাচাতো বোনের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার একটি এলাকা থেকে ওই ছাত্রী অপহরণের শিকার হয়।

এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা হাফেজ উল্যাহ বাদী হয়ে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর এলাকার ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী ইয়াছিন ও তার সহযোগী সিএনজি চালক আবদুল খালেকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকা থেকে সিএনজি চালক আবদুল খালেককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার এসআই জাহিদ হাসান জানান, মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার আবদুল খালেকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা অভিযান চালান। কিন্তু সফল হতে পারেননি। পরে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বুধবার রাতে ইয়াছিনের অবস্থান নিশ্চিত হন।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ছাত্রীকে বাধা অবস্থায় উদ্ধার ও ঘুমন্ত অবস্থায় ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতেই তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হবে। এরপর ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর)ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা শেষে তাকে ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাম হাসান অপহৃত মাদরাসা ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার ইয়াছিনকে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হবে। ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আবদুল্লাহ আলমামুন/পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More