গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো জেলায় কারফিউ জারির তৃতীয় দিন চলছে। জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকেই দেখা যায় জেলা শহরের প্রধান সড়ক গুলি প্রায় ফাঁকা, দু–একটি ছোট যানবাহন ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়েনি। ছোট বড় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। এতে ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ ক্রেতা এবং সেবা প্রত্যাশীরা। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। গোটা গোপালগঞ্জে এখনো থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎপরতা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারফিউ আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে ১১টা থেকে দুইটা পর্যন্ত শিথিল থাকবে। এরপর সন্ধ্যায় পুনরায় বিবেচনা করে কারফিউ শিথিল অথবা বাড়ানো হতে পারে।
কারফিউর মধ্যে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে ১৪ জনকে বুধবার রাতে আটক করা হয়। গতকাল সারাদিনে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ১০ জনকে আটক করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান ২৪ জনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বুধবারের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।
গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। এর প্রধান করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গণিকে। কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন জনপ্রশাসন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের দু’জন অতিরিক্ত সচিব।