কাতার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য, আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার গোল্ডেন বল জিতলেন লিওনেল মেসি। আর সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার গোল্ডেন বুট জিতেছেন কিলিয়েন এমবাপ্পে। তবে ব্যক্তিগত এসব অর্জনের সাথে তারা গড়েছেন, বেশ কিছু নতুন রেকর্ডও।
এবারের বিশ্বকাপে ৭ গোল করা মেসি, আসরজুড়ে করিয়েছেন, আরও তিন গোল। প্রতিটি ম্যাচেই দলের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী এই ফুটবলার। সে কারণেই গোল্ডেন বলের দৌড়ে ফাইনালের আগেই অনেকটাই নিশ্চিত ছিলেন এই তারকা। ফাইনালও ঝলমলে হয়েছে তার পারফর্মেন্সে। এরই পুরষ্কার পেলেন ক্ষুদে জাদুকর। ২০১৪ বিশ্বকাপেও গোল্ডেন বল জিতেছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু সেবার পরাজিতের দলে থাকায় তার এ পুরষ্কারটি কষ্টই বাড়িয়েছে।
সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার গোল্ডেন বুটের জন্য লড়াইটা হয়েছে জমজমাট। ফাইনালের আগে সমান ৫ গোল ছিল মেসি ও এমবাপ্পের। ফাইনালে হ্যাটট্রিক কোরে নিজের নামটা পুরষ্কারে লিখে ফেলেন ফরাসী তারকা।
নকআউট পর্বের প্রতি ম্যাচেই অন্তত একটি কোরে পেনাল্টি রুখে দেয়ায় হুগো লরিসকে টপকে, সেরা গোলরক্ষকের গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তার সাথে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরষ্কারও গেছে আর্জেন্টিনার ঝুলিতে। জিতেছেন এনজো ফার্নান্দেজ।
এদিকে, কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে লেখা হয়েছে একাধিক নতুন রেকর্ড। অতিরিক্ত সময়ের ১১৮ মিনিটে কিলিয়েন এমবাপ্পের গোলটিই বিশেষ কিছু। সেটি ছিলো ম্যাচের ষষ্ঠ গোল। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার ৩-২ গোলের জয়টিই এতদিন ফাইনালে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছিলো। লুসাইলে, ওই গোলের মাধ্যমে ছয় গোলের ফাইনাল পেলো ফুটবলবিশ্ব। সেই সাথে ওই গোলটির মাধ্যমে বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ ১৭২ গোলের রেকর্ডও গড়া হয়। পেছনে পড়ে ১৯৯৮ বিশ্বকাপের ১৭১ গোলের রেকর্ড।
এদিকে, লুসাইলেই বিশ্বকাপের মূল আসরে নাম লেখালো ভারত। স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসের সাথে মাঠে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আসেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। ভারতীয় হিসেবে তিনিই প্রথম এ সম্মান পেলেন।