শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

৯২-এর পুনরাবৃত্তি না কি প্রতিশোধ?

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
2 minutes read

বিদায়লগ্নের দুয়ারে দাঁড়িয়ে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথম রাউন্ড, সুপার টুয়েলভ ও সেমিফাইনালে ৪৪ ম্যাচের যাত্রা পেরিয়ে এবার ফাইনাল মহারণ দেখার অপেক্ষা। শিরোপার মঞ্চে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে নামবে দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগামী ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল।

এদিকে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে এবারের বিশ্বকাপ আসর শুরু করে পাকিস্তান। প্রথমে ভারত এবং পরবর্তীতে জিম্বাবুয়ের কাছে হারে তারা। এরপর নেদারল্যান্ডস, সাউথ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষ সেমিফাইনালে ওঠে তারা।

সেমিতে পাকিস্তান হারায় আসরের অন্যতম ফেভারিট নিউজিল্যান্ডকে। পাকিস্তানের এমন ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে দলটির পেসারদের কৃতিত্ব দেন বাটলার। তার মতে শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ, নাসিম শাহ, ওয়াসিম জুনিয়রদের অসাধারণ বোলিংয়েই পুরো আসরে দাপট দেখায় পাকিস্তান।

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের ফাইনাল যাত্রাটাও অতোটা সুখকর নয়। গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচে হার এবং বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে আরেক ম্যাচে। বাঁচা মরার লড়াইয়ে শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে পা রাখেন জস বাটলারের দল। কিন্তু অতীতের সকল ইতিহাস পাল্টে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে হেসে খেলে ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড।

বাটলার আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই পাকিস্তান দুর্দান্ত একটি দল। আমি মনে করি, তাদের দুর্দান্ত সব ফাস্ট বোলার তৈরির ইতিহাস আছে। আমরা যে দলের বিরুদ্ধে খেলব, তাদেরও আলাদাভাবে দেখছি না। আমি নিশ্চিত, ক্যারিয়ারের শেষ দিকে, যাদের বিরুদ্ধে আমরা খেলতে যাচ্ছি, তাদের কাউকে কাউকে পাকিস্তানের সেরা বোলার হিসেবে স্মরণ করা হবে। দলটি যে ফাইনালে, এর বড় একটি কারণ তারাই।’

বস্তুত, ১৯৯২ বিশ্বকাপের সঙ্গে ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপের মিল অনেক। সেবারও পাকিস্তানের একপ্রকার গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিশ্চিত হারের মুখ থেকে বৃষ্টি বাঁচিয়ে না দিলে সেবারে হয়তো ফাইনালে পৌঁছনো সম্ভব হতো না ইমরান খানের দলকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। জবাবে ইংল্যান্ডের রান যখন ২৪ রানে এক উইকেট, তখন বৃষ্টি বাদ সাধায় ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়। ভাগ্যের জোরে এক পয়েন্ট পেয়ে যায় পাকিস্তান। তাতেই টিকে থাকে বিশ্বকাপে। সেমিফাইনালে সেবারও পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কঠিন ম্যাচে কোনও এক ইনজামাম-উল হকের মহাকাব্যিক ইনিংস সেবারে ফাইনালে তুলে দিয়েছিল পাকিস্তানকে। তারপর কীভাবে পাক দল বিশ্বজয় করেছিল, সেটা সকলের জানা।

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More