জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার অংশ হিসেবে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি। আজ সোমবার রাতে রাজধানীর মহাখালীতে অলি আহমদের বাসায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং কর্নেল অলির নেতৃত্বে এলডিপির একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়। সেখানে সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এলডিপি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই জানিয়েছেন দুই পক্ষের নেতারা।
বৈঠক প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সরকার পতনের আন্দোলনের দাবিগুলো নিয়ে এখানে কথা হয়েছে। আরও দলের সঙ্গে আমরা কথা বলব। সবার সঙ্গে কথা বলে দাবিনামা ঠিক করা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবাই মনে করি এই সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার অথবা অন্তর্বর্তীকালীন একটা সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তার হওয়া সব রাজনৈতিক নেতার মুক্তির বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। দফা একটাই–এই সরকরের পদত্যাগ। বিএনপি অনেক দিন ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত রয়েছে। এখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যেতে চাই।’
নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে, সে বিষয়ে বৈঠকের আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে অলি বলেন, ‘সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে এবং সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নতুন সরকার আসবে, তারা প্রশাসনকে ঠিক করবে। মানুষ যখন প্রস্তুত হবে, প্রশাসন যখন প্রস্তুত হবে, জনগণ যখন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে, তখন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমান অবস্থায় যদি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ জয়ী হবে না। কারণ প্রতিটি জায়গায় ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের প্রাধান্য।’
জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে সরকার পতনের আন্দোলনকে বেগবান করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু করেছে বিএনপি। গত ২ অক্টোবর কল্যাণ পার্টির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে ২০ দলীয় জোটভুক্ত জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সঙ্গে এবং রাতে এলডিপির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি।