নিরাপত্তা শঙ্কা কাটিয়ে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এই নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সম্ভবত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুপস্থিতি। বেশ কয়েকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি এখন কারাগারে। ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইমরান খানকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয় এবং তাকে নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বিতা করতে বাধাও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ নির্বাচনের লড়াইয়ে আছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে প্রথম হিন্দু নারী প্রার্থী সাবিরা
পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার তাদের ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন। যার প্রায় অর্ধেক ৩৫ বছরের কম বয়সী। তারা ৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থীর মধ্য থেকে নতুন আইনপ্রণেতা নির্বাচন করবে। এসব প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র ৩১৩ জন নারী।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) (পিএমএল–এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) –এই দুটি প্রধান দলই ভোটের লড়াইয়ে আছে। তবে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি থেকে প্রার্থী বাছাই করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ দলটির ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক ব্যবহার করা নিষিদ্ধ হয়েছে। ভোটের লড়াইয়ে নির্বাচনী প্রতীক কার্যত প্রধান ভূমিকা পালন করে, সেটিও আবার এমন একটি দেশে যেখানে ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ পড়তে অক্ষম।
আল / দীপ্ত সংবাদ