আর্জেন্টিনার পুয়ের্তো মাদ্রিন উপকূলে দেখা মিলছে শতাধিক ফ্ল্যামিঙ্গোর। শান্ত নীল পানিতে উজ্জ্বল গোলাপি রঙের পাখির ঝাঁক। আর্জেন্টিনার শহর পুয়ের্তো মাদ্রিন উপকূলে, মায়াবী এই পাখির রূপে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।
এ সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অসংখ্য দর্শনার্থী। এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সেখানে ফ্ল্যামিঙ্গো বিচরণ করছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। শুধু সৌন্দর্যই নয়, ফ্ল্যামিঙ্গোর জীবনাচার দেখতেও এখানে আসছেন অনেকে।
সৌন্দর্য দেখতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ‘পুয়ের্তো মাদ্রিনে ফ্ল্যামিঙ্গো দেখবো এটা কখনোই আশা করিনি। আর্জেন্টিনার অন্য প্রান্তে এটির বিচরণ বেশ। এটা আমাদের জন্য একটা সারপ্রাইজও।‘
আরেক দর্শনার্থী বলেন, ‘আমি প্রতিদিন এখানে আসি। তারা কীভাবে খায়, তাদের আচরণ সব উপভোগ করি।‘
আর্জেন্টিনার পাখি বিশেষজ্ঞ লুসিয়ানা রাকেল মুসমেসি বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এটিকে কেন বেশি দেখছি। এর সঠিক উত্তর দেয়া মুশকিল। হতে পারে এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় এরা উপকূলীয় অংশ বেশি ব্যবহার করছে।‘
গোলাপি রঙের পালকের জন্যই পাখিটি এত সুন্দর। তবে এটির পালক গোলাপি ছাড়াও সাদা, কমলা বা লালও হয়ে থাকে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক ফ্ল্যামিঙ্গো ৩/৪ ফুট উঁচু হয় এবং ওজন হয় ৯ পাউন্ড। সবচেয়ে লম্বা হয় গ্রেটার ফ্ল্যামিঙ্গো, প্রায় পাঁচ ফুট। আর লেসার ফ্ল্যামিঙ্গো সবচেয়ে ছোট আকারের, যা হয় ৩ ফুটের মতো।
আফ/দীপ্ত নিউজ