স্টোরি–১– দুই নারী উদ্যোক্তার গল্প
ইনার মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কুই লিউ হ্যুও উপজেলার থোয়ানচিয়ে থোন গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখনাএ গিয়ে দেখেছি ৪০ বছর বয়সী জমজ দুই মঙ্গোলিয়ান নারী হুয়াং চিন পিং ও হুয়াং ইয়েন পিং। বিবাহিত এই দুই নারী ঘরের কাজ, ভেড়া পালন, ঘোড়া পালন ও কৃষি কাজই ছিলো তাদের মূল কাজ। কিন্তু এখন তারা একটি কারখানার মালিক। চলতি বছরের মার্চ থেকে শুরু করেছেন এই কারখানা। যেখানে তারা তৈরি করছেন শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ। হ্যুপেই প্রদেশের একটি কোম্পানি থেকে অর্ডার পেয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেলিভারি পৌছে দেন কোম্পানির মালিকের কাছে।
তাদের এই কারখানায় কাজ করছেন ৩০ থেকে ৬৩ বছর বয়সী ১২০জন নারী। প্রতিদিন ১৬০০ ব্যাগ তৈরি করেন এখানে কর্মরত নারীরা। আর প্রতিমাসে এই কারখানা থেকে আয় করছে তিন হাজার ইউয়ান।
নিজ বাড়িতেই এই কারখানার পাশপাশি কৃষিকাজেও ভূমিকা রাখছেন এই নারী। এমন উদ্যোগ নিয়ে চিন পিং, ইয়েন পিং যেমন সাবলম্বী হয়ে ঊথেছেন ঠিক তেমনি এখানে কর্মরত নারীরাও এখন সাবলম্বী।
স্টোরি–২– সিকা হরিণ পালনে সাবলম্বী নারী
ইনার মঙ্গোলিয়ার পাই ইন হওথ্যুও গ্রামের ওয়াং লিচুং নামের এক নারী পালন করছেন সিকা হরিণ। নিজ বাড়িতেই খামার দিয়ে ১০০র বেশি সিকা হরিণ লালন পালন করছেন তিনি । এসব হরিণের শিং, চামড়া, রক্ত, পায়ের অংশ দিয়ে তৈরি করেন চীনের ঐতিহ্যবাহী ওষুধ, যা ট্র্যাডিশনাল চায়নিজ মেডিসিন নামে পরিচিত। এসব ঔষধ অনলাইনে বিক্রি করেন চীনের শানতোং বেইজিং, শানসিসব বিভিন্ন প্রদেশে।
স্টোরি ৩– ঐতিহ্যবাহী মঙ্গোলীয় পোশাক তৈরি করছেন একদল মঙ্গোলীয় নারী
মঙ্গোলীয় নারী সিউ উন। ঐতিহ্যবাহী মঙ্গোলীয় পোশাক তৈরির কারখানা তার। বেশ কয়েকজন নারী কাজ করেন তার কারখানায়। স্থানীয় সরকারের সহায়তায় স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন এই নারী।
স্টোরি ৪– কৃষি সমবায়: দুই ভাইয়ে নতুন কৃষক হওয়ার গল্প
ইনার মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সিন আন মং জেলার পাই থ্যু ও পাই আর দুই ভাই। সরকারের সহযোগিতায় ২০১৭ সাল থেকে গ্রামের মানুষদের জমি ব্যবহার করে সমবায় সিস্টেম পরিচালনা করছেন তারা। এই সমবায় সিস্টেমে কৃষিকাজ, গরু, ভেড়া, ছাগল হরিণ ও শূকর পালন করছেন দুই ভাই। অল্প বয়সেই কয়েকশ পরিবারের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন তারা।