সম্প্রতি ইউরোপের জার্মানীর বার্লিন শহরে অনুষ্ঠিত বার্লিন ফ্যাশন ফিল্ম উৎসব একটি বড় ধরনের ফ্যাশন ফিল্ম উৎসব। বিশ্বের সব নামিদামি ব্র্যান্ড এর ফ্যাশন ফিল্ম এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে।
রিবা বাংলাদেশের স্বনামধন্য একজন মডেল, বাংলাদেশের সব পোশাক ব্র্যান্ডের সাথে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। এই প্রথম সে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ফিল্মের জন্য কাজ করলো। পরিচালক জাহিদুল আলম খান বার্লিন ফ্যাশন ফিল্ম উৎসব থেকে পুরস্কার প্রাপ্ত। তিনি একজন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফ্যাশন ফিল্মমেকার।
এই ফ্যাশন ফিল্মটি তৈরি করার জন্য অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি হতে হয়েছে, শুটিং থেকে শুরু করে পোস্ট প্রোডাকশন পর্যন্ত অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছে যেগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করে এগিয়ে যেতে হয়েছে।
এই ফ্যাশন ফিল্মটি তে কাজ করেছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য সব কলাকুশলী ও শিল্পীগণ। তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলে সফল, প্রত্যেকেরই আলাদা একটি নিজস্ব পরিচিতি আছে। শুটিং থেকে শুরু করে সম্পাদনা শেষ করা পর্যন্ত প্রতিটা স্তর ছিল অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। প্রায় এক বছর ধরে এই ফিল্মটির কাজ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উৎসবে পাঠানো হয়েছে এবং সেসব উৎসবে ফিল্মটি প্রদর্শিত হয়েছে এবং সুনাম অর্জন করেছে। প্রতিটি উৎসবই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন যেমন বার্লিন ফ্যাশন ফিল্ম ফেস্টিভাল, মিলান ফ্যাশন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, এল এ ফ্যাশন ফিল্ম ফেস্টিভাল, লন্ডন ফ্যাশন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। পরিচালকের চেষ্টা ছিল বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে আন্তর্জাতিক একটি মানদন্ডে নিয়ে যাওয়া।
ফ্যাশন ফিল্মটি অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচালক রিলিজ দেয়ার পর সাধারণ দর্শক ও বোদ্ধাদের কাছ থেকে বিশেষ প্রসংসা কুরিয়েছে।
রিবা তার সম্পূর্ণ মেধা, পরিশ্রম ও একাগ্রতা দিয়ে ফিল্মটিতে কাজ করেছে যা ফিল্মটি দেখলেই বোঝা সম্ভব। ফিল্মটির প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টের সবাই তাদের সর্বোচ্চটি দিয়ে এই ফিল্মটি তৈরি করেছেন। রিবা চেষ্টা করেছে তার নিজেকে ভেঙে নতুনভাবে এই ফিল্মটির জন্য কাজ করার এবং সে সম্পূর্ণভাবে সফল এটা বলা যায়।
ফিল্মটি শুট করার আগে প্রি প্রোডাকশনের বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয়েছে, এর একটা ডেমো ভার্শন ও করা হয়, রিবার সম্পূর্ণ চেষ্টা ছিল যেন কাজটি ভালো হয়। মেকআপ থেকে শুরু করে সবকিছুতে পরিচালকের চেষ্টা ছিল যেন নতুন কিছু সে দিতে পারে দর্শককে। যেহেতু ফিল্মটি আন্তর্জাতিক উৎসব গুলোতে প্রদর্শিত হবে তাই তার চেষ্টা ছিল কাজটি যেন আন্তর্জাতিক মানেরই হয়।
জাহিদুল আলম খান নামটি বাংলাদেশের ফ্যাশন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটি পরিচিত নাম। তিনি তার ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০১৪ সালে ফ্যাশন ফিল্ম তৈরি করার মাধ্যমে। প্রথম ফিল্ম থেকেই তিনি তার নিজের আলাদা একটি স্টাইল তৈরি করে নিজস্ব একটা সত্ত্বা তৈরি করেছেন।