কয়েক বছর ধরে পুরোনো গানের রিমিক্স হচ্ছে। অধিকাংশ সময়ই গানগুলো শ্রোতাদের হতাশ করেছে। যাঁরা আসল ভার্সনটি পছন্দ করেন, তাঁদের বেশির ভাগই রিমিক্স ভার্সন নিয়ে অসন্তুষ্ট। এই রিমিক্স সংস্কৃতিতে বিরক্ত অস্কারজয়ী ভারতের সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রাহমান। রিমিক্স সংস্কৃতিকে বিকৃত মনে করেন এই সুরকার।
সর্বশেষ ১৯৯৯ সালের ফাল্গুনী পাঠকের গান ‘ম্যায়নে পায়েল হ্যায় ছানকাই’ রিমিক্স করেছেন নেহা কক্কর। গানটি প্রকাশের পরপরই এর মূল গায়িকা ফাল্গুনী পাঠক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, রিমিক্সটি মূল গানকে নষ্ট করেছে। এর পর থেকেই রিমিক্স সংস্কৃতি নিয়ে বেশ সমালোচনা শুরু হয়েছে বলিউডে। রিমিক্স নিয়ে ভক্ত–অনুসারীদের পাশাপাশি তারকারাও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এ আর রাহমান। তিনি জানান, তিনি রিমিক্স সংস্কৃতি পছন্দ করেন না। অন্যের কাজ ব্যবহার করার বিষয়ে তিনি নিজেও খুব সতর্ক থাকেন। মণিরত্নম পরিচালিত ‘পোন্নিইন সেলভান ১’ ছবির জন্য এই শিল্পী নতুন গান কম্পোজ করেছেন। এ আর রাহমান জানিয়েছেন, এই গানগুলোর নতুনত্বের জন্য তিনি ও পরিচালক প্রশংসিত হয়েছেন।
অন্য সংগীতশিল্পীরা তাঁর সুর রিমিক্স করছেন—এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি যতই দেখি, এটি ততই বিকৃত মনে হয়। সুরকারের উদ্দেশ্যের কারণে এটি বিকৃত হয়ে যায়। তারা বলে আমি নতুন করে ভাবছি। এবং প্রশ্ন করে আবার ভাবার আপনি কে? আমি অন্য কারও কাজ করার ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক থাকি। এটি একটি ধূসর এলাকা, যা নিজের মতো করে সাজাতে হবে। নিজেদের সুরে রঙিন করতে হবে।’
প্রযোজক ও পরিচালক যখন তাঁর নিজের সুরগুলোকে রিমিক্স করার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেন, তখন তিনি কী করেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি রিমিক্স করার প্রয়োজন হয়, তবে রিমিক্স করবেন। রিমিক্স করার ক্ষেত্রে তারা অনুমতি নেন। কিন্তু সাম্প্রতিক কোনো গান নিয়ে সেটিকে রিমিক্স করতে পারবেন না। এই বিষয়টা অদ্ভুত লাগে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে ‘পোন্নিইন সেলভান ১’। এই ছবিতে পাঁচটি গান গেয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। যার মধ্যে রয়েছে পোন্নি নদী, দেবরালান আতম ও আলাইকাদল শিরোনামের গান। ছবিটির সিক্যুয়েল আসবে আগামী বছর।