জামালপুরে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে দোষীদের শাস্তিসহ অধিগ্রহণকৃত ভূমির প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (১৪সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামালপুরের মৃর্ধাপাড়া এলাকায় রুনা আলম ভুক্তভোগীর নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শহরের গেইটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস (ফ্লাইওভার) নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেয় সরকার।
সে সময় সিংহজানী মৌজায় ৮৩৭৮ নং দাগে ২.০৪ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণের আওতায় পড়ে। ভূমি অধিগ্রহণের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের দাবির সময় আমার স্বামী মৃত খন্দকার ইলিয়াস মোর্তুজার ভাইয়েরা আমাকে এবং আমার একমাত্র মেয়েকে না জানিয়ে শুধুমাত্র তাদের নাম দিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবির তালিকা দেয়। অধিগ্রহণকৃত ওই দাগের জমি ইজমালি সম্পত্তি যার কোন রেজিষ্ট্রি বন্টননামা হয়নি এরই প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় ক্ষতিপূরণ দাবি করে একটি আপত্তিপত্র দেই, পাশাপাশি যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত এবং সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালতে মামলা দায়ের করি এবং সেই মামলা দুটি এখনো চলমান।
এই অবস্থায় জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে আমাকে না জানিয়ে সকল প্রকার বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও আমার না দাবি ছাড়া সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে চলতি বছরের ২৯ আগসট আমার বিবাদীপক্ষ খন্দকার কেএম সুলায়মান, খন্দকার খারুক আহমেদ, খন্দকার রেজাউল করিম, খন্দকার এনায়েতুল কিবরিয়া ও খন্দকার খালিদ খুররমকে ভূমি অধিগ্রহণের সকল ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করা হয়।
এই বেআইনি কাজের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি এবং অধিগ্রহণকৃত ভূমি থেকে নায্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, এখানে আমার সাথে অবিচার করা হয়েছে। দুটি মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও কিভাবে আমাকে না জানিয়ে অন্যদের দেওয়া হলো আমি জানিনা। আমি ন্যায় বিচারের জন্য বর্তমানে সরকারের সহযোগিতার কামনা করছি।
তানভীর/ আল/ দীপ্ত সংবাদ