শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নাটোরে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হত্যা মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

4 minutes read

নাটোরের গুরুদাসপুরে মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম হত্যা মামলায় দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা,অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ সময় একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার(১০ আগস্ট) দুপুরে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শরীফ উদ্দিন এই রায় প্রদান করেন।


মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি ভোরে মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে বাড়ীতে রেখে ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যায়। পরে সে প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারে কে বা কাহারা তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পরে তিনি বাড়ীতে গিয়ে তার স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান। এ সময় ঘরের মেঝেতে একটি রক্তাক্ত বড় ধারালো চাকু পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন তিনি।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত করে তিনজনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে।

মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) আদালতের বিচারক দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও একজনকে খালাসের আদেশ দেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, গুরদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় খলিফাপাড়া মহল্লার মৃত হযরত আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম ও একই মহল্লার মৃত সাত্তার প্রামানিকের ছেলে মিঠু প্রামানিক। খালাস প্রাপ্ত নাহিদ ইসলাম উপজেলার খামার নাচকৈড় মহল্লার নজরুল ইসলামের ছেলে।


নাটোর জজ কোটের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

 

 

মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More