বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারের খোঁজ নিতে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ১২ শিক্ষকের একটি প্রতিনিধি দল। তবে এসময় শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেননি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকরা ২০ মিনিটের মতো অপক্ষো করলেও হারুন অর রশীদ তাদের সঙ্গে দেখা করেননি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে উদ্বিগ্ন হয়ে আমরা সেখানে যাই। মিডিয়া থেকে আমরা জেনেছি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রকে হাসপাতাল থেকে অধিকতর নিরাপত্তার জন্য এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে তাদেরকে কেন এখানে আনা হলো? সেই খবর নিতেই আমরা এসেছি।’
ঢাবির এ শিক্ষক অভিযোগ করেন, ‘আমরা যখন এখানে এসেছি, তখন এখানকার অফিস প্রধান (হারুন অর রশীদ) ভেতরেই ছিলেন। তাকে খবরও দেয়া হয়েছে। কিন্তু, তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। যদিও আমাদেরকে অফিস থেকে বলা হয়েছিল, উনার গাড়ি থামিয়ে কথা বলতে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকও বটে। কাজেই আমাদের শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে আছে কি–না, সেই খবর আমরা কারও গাড়ি আটকে কেন জিজ্ঞেস করব? এটা তো খুবই স্বাভাবিক যে পুরো বিষয়টা স্বচ্ছ থাকবে। কেন, কী হয়েছে আমাদেরকে বলা হবে। কিন্তু, তিনি আমাদের সঙ্গে দেখাই করেননি।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, সহকারী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অরণি সেমন্তী খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সাইমুম রেজা, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষক অলিউর সান ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিক্ষক তামারা মাকসুদ।
এজে/দীপ্ত সংবাদ
