গরিব ও দুস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের শাড়ি দুই বন্ধুর স্ত্রীর পাওয়া নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সমালোচনা করে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন হবিগঞ্জ–৪ (চুনারুঘাট–মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সাড়ে ৪শ বা ৫শ শাড়ি, লুঙ্গি দেওয়া হয়। কিন্তু আমার এলাকায় মানুষ থাকে তিন থেকে চার লাখ। তারা আশা করে থাকে সংসদ সদস্য হিসেবে আমি তাদের কিছু উপহার দেব। সরকারি বরাদ্দ বণ্টন প্রক্রিয়াতে কে, কাকে দিচ্ছে, এর দায় কী এমপি হিসেবে আমি নিতে পারি। আমি সব কিছু বণ্টনে সব সময় খোঁজ–খবর নিয়ে থাকি। তারপরও কাউকে গরিব মনে করে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু উপহার দিয়ে থাকলে তিনি যদি সেটা গ্রহণ না করেন তাহলে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া অথবা প্রকৃত গরিবদের বিতরণ করে দেওয়া উচিত।
ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, আমার এলাকার জন্য আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী যে ঈদ উপহার দেন তা আমার এলাকায় এই প্রথম আমিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করি। যা এর আগে কোনো সংসদ সদস্য করেননি।
এ সময় একটি গণমাধ্যমের সমালোচনা করে সুমন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে এ ধরনের সৎ লোককে তারা মেনে নিতে পারছে না।’
প্রসঙ্গত, গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঈদ উপহারের শাড়ি পেয়েছেন সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের দুই বন্ধুর স্ত্রী। তারা ওই উপহার প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছেন। যা নিয়ে ইতোমধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ
