পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে আওতায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করা রাজশাহীগামী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ একপ্রেস ট্রেনের ‘ঙ‘ নাম্বার বগিতে স্বর্ণা আক্তার (২০) নারীর হঠাৎ প্রসব ব্যাথা ওঠে। পথে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছালেই ট্রেনের মধ্যেই একটি ছেলে নবজাতকের জন্ম দেন ওই নারী।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে ভূমিষ্ঠ হয় শিশুটি। বর্তমানে মা ও ছেলে শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ট্রেনে সন্তান জন্মদানকারী প্রসূতি স্বর্ণা ঝিনাইদের মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের হুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী।
আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের দায়িত্বরত খুলনার ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ইলিয়াস কবীর সেলিম বলেন, সোমবার (৮ জুলাই) খুলনা থেকে রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি সকাল সোয়া নয়টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি নারী তার পরিবারসহ দর্শনা রেলস্টেশন থেকে ‘ঙ‘ নাম্বার বগিতে ওঠে। ট্রেনটি সকাল পৌনে ১১ টার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনে এলে প্রসূতি নারীর প্রসব বেদনা ওঠে।
এ সময় ওই ট্রেনের কন্টাক্টটর ট্রেন পরিচালক (গার্ড) তাপস কুমার আমাকে বিষয়টি অবগত করেন; ‘ঙ‘ নাম্বার বগিতে এক প্রসূতি নারীর প্রসব বেদনা উঠেছে। এ সময় আমি মাইকিং করে ট্রেনে কোন ডাক্তার আছে কিনা? ঘোষণা করলে খুলনা–রাজশাহী রুটের আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে ওঠা রাজশাহী অভিমুখে যাওয়া ট্রেন যাত্রী ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নাজনীন আক্তার দ্রুত এসে ‘ঙ‘ নাম্বার বগিতে এসে পরিচয় দেন, তিনি ডাক্তার।
এদিকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা ১২ টার দিকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এলে নবজাতক একটি ছেলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
ওই ট্রেনের যাত্রী, নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নাজনীন আক্তার বলেন, ট্রেনে করে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলাম। মাইকিং শোনার পর ‘ঙ‘ বগিতে যাই। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে তিন সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। জন্ম নেওয়া বাচ্চাটি নরমাল ডেলিভারিতে বেশ সুস্থভাবেই জন্ম হয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশুটি সুস্থ আছে।
শামসুল আলম/এজে/দীপ্ত সংবাদ