রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গতকাল রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন শামসুল আলম বীর উত্তম। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। ভারতীয় হাইকমিশনও এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের আকাশ সৈনিক গ্রুপ ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত শামসুল আলম বীর উত্তমকে শ্রদ্ধা জানাতে বিমান বাহিনীর এই আয়োজন। শুক্রবার ঢাকার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে তাঁর কফিনের ওপর দিয়ে একের পর এক উড়ে যায় যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার। এর আগে সকালে পুরনো বিমান বন্দরে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার এ শামসুল আলমের মরদেহ আনা হয়। এ সময় বিমান বাহিনীর একটি চৌর্কস দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এতে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, ভারপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মুক্তিযুদ্ধে কিলো ফ্লাইটের এই পাইওনিয়ারিং অফিসারের প্রথম জানাজায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সহকর্মী, পরিবারের সদস্য এবং বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা বলেন, শামসুল আলমের মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে শামসুল আলমের মরদেহ দ্বিতীয় জানাজার জন্য নেওয়া হয় গুলশান আজাদ মসজিদে। এতে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়। তারা বলেন, জাতির এই বীর সন্তানের কথা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গড়ে তোলার অন্যতম সদস্য এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বনানী কবরস্থানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর কফিনে ভারতীয় হাইকমিশনারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পরে, বনানী কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয় একাত্তরের এই বীর সেনানীকে। বৃহস্পতিবার ৭৫ বছর বয়সে ঢাকার একটি হাসপাতালে শামসুল আলম বীর উত্তমের জীবনাবসান হয়।