শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সাগর-রুনি হত্যা: হতাশার একযুগ

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
5 minutes read

১২ বছর আগে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হয়েছিলেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই জোড়া খুনের খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ৪৮ ঘণ্টার সেই নির্দেশনার ১২ বছর পার হচ্ছে কিন্তু দেশের এই সাংবাদিক দম্পতিকে কেন খুন হতে হয়েছিল তা এখনও জানা গেল না।

গত সপ্তাহে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদকে বলেন, সাংবাদিক দম্পতি হত্যার তদন্ত শেষ করার কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি তিনি বলেছিলেন, সাগররুনির খুনিদের খুঁজে বের করতে যদি তদন্ত ৫০ বছর লেগে যায়, তাহলে তা দিতে হবে।

২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে, র‌্যাব ১০৫ বার আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময় চেয়েছে। এর আগে আরও দুই সংস্থা দুই বার সময় চেয়েছে। সব মিলিয়ে এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ১০৭ বার সময় পেছানো হয়েছে।

রও পড়ুন: সেঞ্চুরি করল সাগররুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন জমার সময়

ভুক্তভোগী পরিবারগুলো হতাশা প্রকাশ করে এটাকে র‍্যাবে ১২ বছরের ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছে। মেয়ে ও জামাতা হত্যার বিচারের অপেক্ষায় থেকেই দুই বছর আগে মারা যান রুনির মা নূর নাহার মির্জা।

২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়েরের পর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় শেরেবাংলা নগর থানাকে। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের ব্যর্থতার পর মামলাটি র‍‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয় ১৮ এপ্রিল, ২০১২।

উল্লেখ্য, এই মামলায় গ্রেপ্তার আট জনের মধ্যে দুজন জামিন পেয়েছেন এবং বাকিরা কারাগারে আছেন।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি আদালতে আবারও এ মামলার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

 

এআর/এসএ/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More