টাঙ্গাইল শাড়িকে বাংলাদেশ তার ভোগলিক নির্দেশক ( জিআই ) পণ্য ঘোষণা দেওয়ার পর, ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। এই বিরোধ গড়াবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায়। তখন পর্যাপ্ত তথ্য–উপাত্ত উপস্থাপনও করতে হবে।
নিপূণ হাতে, বংশ পরম্পরায় বাংলাদেশের তাঁতিরা যে অনিন্দ্য সুন্দর টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি করে আসছেন, তার রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। চতুর্দশ শতাব্দী থেকে এই জেলার তাঁতিরা এর সঙ্গে যুক্ত। কালের প্রবাহে দেশ–বিদেশে ঐতিহ্যের স্মারক হয়ে দাঁড়ায় এই শাড়ি।
আরও পড়ুন: জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল নাটোরের কাঁচাগোল্লা
তাঁতশিল্প নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা গ্রন্থে উঠে এসেছে, টাঙ্গাইল শাড়ির কারিগররা মসলিন শিল্পীদের বংশধর। তাদের কেউ কেউ ভারতের ফুলিয়া, নদিয়াসহ কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়েন। কিন্তু ভারতের শাড়ির সাথে টাঙ্গাইলের শাড়ির রয়েছে পার্থক্য।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টাঙ্গাইল শাড়িকে দেশটির ভোগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি দেয়। এরপরই বাংলাদেশ এই শাড়ির জিআই স্বত্ব ঘোষণার উদ্যোগ নেয়।
টাঙ্গাইল শাড়ি দেশের শত শত বছরের ইতিহাস। এই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য যাতে কােনভাবেই বেহাত না হয়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সাধারণ মানুষের।
এসএ/দীপ্ত নিউজ