শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্থদের মানববন্ধন

7 minutes read

দিনাজপুর পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা উত্তোলনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটি বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন করেছে।

শনিবার ( ১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসালম এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বৈগ্রাম ও কাশিয়াডাঙ্গার প্রায় দেড় হাজার পরিবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় বৈগ্রাম মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে কয়লা খনি ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, খনি হওয়ার কারণে এলাকার মানুষ মোনে করেছিল আমাদের পরিবর্তন হবে কিন্তু খনি হওয়ার কারণে এখন আমাদেরকে সব সময় আতংকে থাকতে হচ্ছে। শত শত বসতবাড়ী কম্পনের কারণে ফেটে যাচ্ছে। বাড়ীর টিউবয়েলগুলিতে কোন পানি উঠছে না, বৈগ্রাম কাশিয়া ডাঙ্গা গ্রাম থেকে ফুলবাড়ী পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল অবস্থা, কৃত্রিম ভূমিকম্পনের কারণে ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকা দায় হয়েছে। ক্ষনি কর্তৃপক্ষকে বার বার এই এলাকার সমস্যা নিয়ে কথা বললেও তারা আমাদের কোন কথা কর্ণপাত করেন না।

তিনি মানববন্ধনে আরও বলেন, আমাদের ৬ দফা দাবি মধ্যে রয়েছে। ক্ষতি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার হতে চাকুরি দেওয়ার থাকলেও গত ০৫ বছরেও তা দেওয়া হয়নি। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থদের স্থায়ী চাকুরি দিতে হবে, বৈগ্রাম ও কাশিয়া ডাঙ্গা দুটি গ্রামের পরিবারদেরকে দ্রুত পুণঃ বাসন করতে হবে, মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করে দিতে হবে, অবশিষ্ট ক্ষতি পূরনের টাকা দিতে হবে, প্রতিটি গ্রামে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে, মসজিদ, মন্দির, স্কুল কলেজ এবং এই এলাকায় উন্নত মানের একটি হাসপাতাল নির্মান করতে হবে, ক্ষনির উত্তোলনকৃত কয়লার ৫% বোনাস দিতে হবে।

আমাদের দাবি বাস্তবায়নে খনি কর্তৃপক্ষ ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংসদ সদস্যকে অবগত করলেও আজ পর্যন্ত কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছেনা। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে আর কতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই গ্রামগুলিতে বসবাস করব? এই এলাকার ভূগর্ভ থেকে কয়লা তোলার কারণে প্রতিনিয়ত দেবে যাচ্ছে। আমরা এখান থেকে অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাব, রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকায় অ্যাম্বুলেন্স্ও এই গ্রামগুলিতে আসতে চায় না। তাহলে আপনারা বোঝেন আমরা কিভাবে জীবনযাপন করছি?

সংগঠনের সহসভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে কেউ এগিয়ে আসছে না। এই এলাকার নির্বাচীত সংসদ সদস্য কে মানুষের সুখ দুঃখের দিনেও পাশে পাওয়া যায় না। তিনি এলাকার উন্নয়ন তো দুরের কথা দেখতেও আসেন না।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বৈগ্রাম কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আবেদ আলী, আব্দুর রহমান বাচ্চু, শফিকুল ইসলাম, মিনহাজুল, মহিলা মেম্বর মোছাঃ পুতু মনি, তৃপ্তি বেগম সহ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এই বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বন্ধ পাওয়া যায়।

 

মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More