নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্কুলছাত্র ও অটোরিক্সা চালক মাহফুজ আহমেদ হত্যাকান্ডে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় অটো রিক্সাটিসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার হাতুরি উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার(৬ অক্টােবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, নিহত মাহফুজ পড়াশোনার পাশাপাশি অটোরিক্সা চালাতো। ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের জন্য অটোরিক্সাটি নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়। রাতে বাড়ীতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকে।
পরের দিন বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের দেবনগর গ্রামের খ্রিস্টানপাড়ার আম বাগানে মাহফুজের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় নিহত মাহফুজের বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বাগাতিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অপরাধের ধরণ বিশ্লেষণ, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নাটোর সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর গ্রাম থেকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে হাবিল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তার দেয়া তথ্য মতে রানা হোসেন নামে একজনকে বাগাতিপাড়ার চকহরিরামপুরে তার বাড়ী থেকে লুন্ঠিত অটোরিক্সাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রানার তথ্য মতে সামিউর রহমান, রানা শেখ ও ইমন প্রামানিককে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নাটোর ইব্রাহিমপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ মোল্লার ছেলে হাবিল হোসেন,আমির চান শেখের ছেলে রানা শেখ, বাগাতিপাড়া উপজেলার চকহরিরামপুর এলাকার মোতাহার আলীর ছেলে রানা হোসেন, কুঠিবাশবাড়িয়া এলাকার সুমন আলীর ছেলে সামিউর ইসলাম ও নুরপুর মালঞ্চি এলাকার জালাল প্রামানিকের ছেলে ইমন প্রামানিক।
পরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সাহেদুল আলম/পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ