স্বাধীনতার ৫১ বছর পর যুদ্ধশিশুর স্বীকৃতি পেলেন তাড়াশের মেরিনা খাতুন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গাজী আরশেদুল ইসলাম।
তিনি জানান, ২৪ অক্টোবর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৮২তম অধিবেশনে ওই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের দ্বারা পাশবিক নির্যাতনের শিকার দেশের সব বিরাঙ্গনা মায়ের যুদ্ধশিশুদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পথ উন্মুক্ত হলো।
যুদ্ধের সময় এলাকার ক্যাম্পে পাক হানাদার বাহিনী অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় পচী খাতুনকে। পাঁচ মাস আটক রেখে বর্বররা লুট করে তার মায়ের সম্ভ্রম। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে ক্যাম্প থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিষপান করে আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করেছিলেন মা পচী খাতুন। কিন্তু উপজেলার খানপাড়া গ্রামের ওমরজান খাতুন নামে মায়ের এক বান্ধবী তার মায়ের জীবন বাঁচান ও আশ্রয় দেন। তার বাড়িতেই ১৯৭২ সালের মাঝ দিকে জন্ম হয় আমার। অনাদর-অবহেলা, লাঞ্ছনা-গঞ্জনার এক তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে বেড়ে উঠি আমি। দারিদ্র্যতা আর স্বীকৃতির সংগ্রামে কেটে গেছে জীবনের ৫১ বছর।’