শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

খাদিজার মুক্তির দাবিতে জবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
8 minutes read

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার নিঃশর্ত মুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর প্রাঙ্গণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। পরে ভিসি বরাবর স্মরকলিপি ও খাদিজার মুক্তি দাবিতে সংগ্রহ করা দুই হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরের অনুলিপি প্রদান করেন তারা।

অসুস্থতার কারণে ছুটিতে থাকায় উপাচার্যের পক্ষে স্মারকলিপি ও স্বাক্ষরের কপি গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমদ।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, খাদিজাতুল কুবরাকে বিনা বিচারে এক বছরের বেশি সময় ধরে আটক রাখা হয়েছে। খাদিজার মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাধা দিয়ে তাদের ন্যাক্কারজনক আচরণ প্রদর্শন করেছে। তার মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, খাদিজার প্রতি জুলুম করা হচ্ছে। খাদিজাকে মুক্তি দিতে হবে এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে যাতে খাদিজার মতো জুলুমের শিকার হতে না হয়, এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোমাইয়া সোমা বলেন, খাদিজার বিরুদ্ধে মামলা করা কলাবাগান ও নিউ মার্কেট থানা আজ তার বিরুদ্ধে কোনো চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি। তাহলে কেন তাকে দীর্ঘদিন আটকে রাখা হলো? এই তালবাহানা বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় করতে গেলে আমাদের প্রথম বাধা দেয় এই তথাকথিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যারা স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে তাদের জামাতশিবির বলে হুমকি দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ সুবিধাভোগী গোষ্ঠী আমাদের মোবাইল ফোনের মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ চেক করেছে। তাদের মূলত বিবেক থাকা উচিত। যখন খাদিজার মুক্তির দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন হয়েছে, তখন আমাদের বিশ্বিবদ্যালয় থেকে কোনো আন্দোলন হয়নি। দীর্ঘদিন নিশ্চুপ থাকার পর আমরা সোচ্চার হয়েছি, সেখানেও তারা বাধা দিচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করে সোমা বলেন, আমাদের পুরো বিশ্ববিদ্যালয় একটি অকার্যকর প্রশাসন দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তারা একটি রাজকীয় শ্বেত পাথরের ভবনে বসে আছেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলতে না পারলে আপনারা দায়িত্ব ছেড়ে দেন।

নতুন পাস হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নতুন মোড়কে নাম দেয়া হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন। এটাও একটা কালো আইন। এই আইনটি করা হয়েছে জনগণের কণ্ঠরোধ করার জন্য। এই আইন মানিনা।

মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে সকল শিক্ষার্থী তাদের মুক্ত জ্ঞান চর্চার সুযোগ পাবে। আজকে আমরা সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। একজন শিক্ষার্থীকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনা বিচারে আটক রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিশ্চুপ আচরণ কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না।

আইন বিভাগের ২০২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, আমার একটাই কথা, এ বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে খাদিজার মুক্তি চাই। তার শিক্ষা জীবন যাতে ধ্বংস না হয়। একজন শিক্ষার্থীকে এভাবে দীর্ঘদিন বিনা বিচারে আটক রাখা মারাত্মক অন্যায়।

২০২২ সালে ২৭ আগস্ট খাদিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং ২৮ আগস্ট কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

শায়লা/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More