তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জি–২০ সম্মেলনে উপমহাদেশের একমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর কেউ আমন্ত্রণ পাননি। সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার ফলপ্রসূ আলোচনাও হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালেয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
জি ২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবস্থান সম্পর্কে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ জি–২০ এর সদস্য নয়। জি–২০ এর সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারত শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, উপমহাদেশের আর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে ডাকা হয়নি।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আরব আমিরাত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। অন্যান্য রাষ্ট্র নায়কদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়েছে সাইডলাইনে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত সফল সফল হয়েছে। আজ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসবেন। কদিন আগে রুশ পরররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এতেই প্রমাণিত হয় আমাদের সরকারের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিশ্ব নেতাদের যে সুস্পর্ক, সরকারের সাথে সুসম্পর্ক সেটি এগুলোতেই প্রমাণিত হয়।
সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদের মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেয়ার ঘটনায় এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিনি আশ্রয় পাননি, গিয়েছিলেন। অপেক্ষা করে গেইট থেকে চলে এসেছেন। আমার মনে হয়েছে এটি একটি নাটক।
সম্ভবত তিনি সপরিবারে মার্কিন ভিসা চাচ্ছেন, সেজন্য এটা নাটক বলে অনেকে বলেছেন। আলোচনায় থাকার জন্য নাটকটি সাজিয়েছেন বলে অনেকে বলছেন। বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত আছে, এটিতেই তো এটিই স্পষ্ট হয়। বিএনপি বলে দলীয় কর্মীদের আমরা বিভিন্ন পদে বসিয়েছি সেটি যে সঠিক নয় সেটি এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় বলেন তথ্যমন্ত্রী।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ