সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সিলেট সিটি নির্বাচন
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ওরফে বাবুলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। মাওলানা মাহমুদুল হাসান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হলেও দলটি ভোট বর্জন করেছেন।
মেয়র পদে আরও লড়ছেন জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র মো. আবদুল হানিফ (কুটু), মো. ছালাহ উদ্দিন (রিমন), মো. শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
সিলেট সিটির মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ এবং নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন। মেয়র পদে আট, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাজশাহী সিটি নির্বাচন
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী চারজন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। তবে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বয়কট করেছেন।
নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৫টি। এরমধ্যে ১৪৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে–এসব কেন্দ্র চিহ্নিত করে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ভোটার তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ এবং নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং ট্রান্সজেন্ডার ভোটার আছেন ছয়জন। নতুন ৩০ হাজার ১৫৭ জন ভোটার এবার প্রথমবারের মতো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে গত তিন নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পড়লেও এবার মেয়র পদে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
আফ/দীপ্ত নিউজ