উৎসবমুখর পরিবেশে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনার কাজ। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে কে হচ্ছেন দুই সিটির পরবর্তী মেয়র।
এবারই প্রথম খুলনা ও বরিশাল সিটির সব কেন্দ্রে ভোট নেয়া হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। এছাড়া সিসি ক্যামেরায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি মনিটরিং করেছেন কর্মকর্তারা।
খুলনা নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯ ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। ভোটকেন্দ্র সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য মোট ২ হাজার ৩১০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এ নির্বাচনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ এবং পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। ভোট শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে।
খুলনায় মেয়র পদে ৫ জন এবং ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরই মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে বরিশালে সকাল সাতটা থেকে ভোট কেন্দ্রে আসতে আরম্ভ করে ভোটাররা। এ নির্বাচনে ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। ১ হাজার ১৪৬টি সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে পুরো নিবার্চন প্রক্রিয়া। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন।
বরিশালের মেয়র পদে ৭ জন এবং বরিশাল সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে ১১৮ জন সাধারণ এবং ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।
আফ/দীপ্ত নিউজ