শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

চার ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অনুতপ্ত হয়ে রক্ষা পেলেন এএসপি-ওসি

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
5 minutes read

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরণি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড টাংকিরঘাট এলাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সাথে অশোভন আচরণের জন্য প্রায় চার ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অনুতপ্ত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করে স্থানীয় জনগণের জনরোষ থেকে রক্ষা পেয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী ও রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত সাড়ে ১১ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) বিজয়া সেন।

পরে, নোয়াখালী জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপে রামগতি নিজ স্টেশনে ফিরে গেছেন তারা। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামগতির উদ্দেশে রওনা করেন অবরুদ্ধ থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা। এর আগে, নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) বিজয়া সেন উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টির সমাধান করেন।

বিজয়া সেন জানান, বিষয়টি জানার পর আমরা টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্পে যাই। স্থানীয় মেম্বারের সাথে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে বিষয়টি স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রামগতি সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী। পরে বিষয়টি নিয়ে আমি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলি। তাদের দাবি ছিল রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সএর পাশাপাশি নোয়াখালীর পুলিশ ওই ক্যাম্পে থাকতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি তাৎক্ষণাৎ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয়দের দাবিকৃত নোয়াখালীর ১০ জন পুলিশ সদস্যকে ওই ক্যাম্পে সংযুক্ত করেছি। যার মধ্যে একজন ইন্সপেক্টর, একজন উপপরিদর্শক, একজন সহকারী উপপরিদর্শক ও ৭ জন কনেস্টবল থাকবেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা সহকারি পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) সাইফুল আলম চৌধুরী ও রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্পে আসেন। পরে তারা ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ক্যাম্পের গোল ঘরে বসেন। এরকিছুক্ষন পর ওই গোল ঘরে আসেন স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাইন উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবুল হোসেন সুজন ও টাংকির বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখওয়াত হোসেন। পরে পুলিশ গোল ঘর থেকে তাদের বের করে দিলে বিষয়টি বাজারে উপস্থিত লোকজনের নজরে আসে এবং তারা উত্তেজিত হয়ে ক্যাম্প ঘেরাও করে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্থানীয় কয়েক হাজার লোকজন একত্রিত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) বিজয়া সেন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

আফ/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More