চট্টগ্রামে ধানকাটার শ্রমিকের অতিরিক্ত মজুরি এবং শ্রমিক সংকটের কারণে বেড়েছে হারভেস্টারের (ধানকাটার যন্ত্র) ব্যবহার। এ যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে কৃষকদের। তবে মৌসুমী শ্রমিকরা বলছেন, যে মজুরী তারা পান তাতে চলেনা এ উচ্চ র্মূল্যের বাজারে এর ওপর যন্ত্রের কারণে কাজ হারানোর শঙ্কা তাদের চোখে–মুখে।
চট্টগ্রামে বোরো মৌসুমে ধানের চাষ হয় প্রায় ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামে বোরোর আবাদ ভালো হওয়ায় ধান কাটার শ্রমিক শংকটের কারণে জমিতে পাকা ধান কাটছে ধানকাটার আধুনিক যন্ত্র–হারভেস্টারের ব্যবহার।
শ্রমিক সংকট ও অতিরিক্ত মজুরীর কারণে প্রতি বছর লোকসানে থাকতে হতো কৃষকদের। তবে এবার আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুত সময় ও অধিক কম খরছে বিল থেকে ধান কেটে গোলায় তুলতে পারছেন কৃষকরা। তাতেই মুখে হাসি কৃষকদের।
তবে এ দূর্মূল্যের বাজারে হাজার টাকা মজুরী নিয়ে সংসারের হাল টানতে যেখানে হিমশিম খাচ্ছে শ্রমিকরা সেখানে ধানকাটার যন্ত্র আসায় কাজ হারানোর শংকা তাদের চোখে–মুখে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে বোরো আবাদ হয় প্রায় ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার সরকারের খামার যান্ত্রিকরণ প্রকল্পের আওতায় ৭০ শতাংশ ভর্তূকি দিয়ে হারভেস্টারের মাধ্যমে কাটা হচ্ছে ধান। কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারে সরকারের উদ্যোগ শতভাগ কৃষকের দৌড় গোঁড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ, এর সুফল পাবে কৃষকরা।
কৃষকের মুখে হাসিটা যেন শেষ পর্যন্ত অক্ষুন্ন থাকে এমন উদ্যাগ সরকারের সংশ্লিষ্টরা নিবেন এমবটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
আল/দীপ্ত সংবাদ