শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

হাত বদলালেই বাড়ে সবজির দাম

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
5 minutes read

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আড়তে তরকারি আসে। এ বাজার থেকেই ফেনী বড় বাজার, পৌর হকার্স মার্কেট, মুক্ত বাজার, ভ্যান গাড়ির হকারসহ আশেপাশের ব্যবসায়ীরা পাইকারিতে সবজি ক্রয় করেন।

ফেনী খাজা আহাম্মদ পৌর তরকারি আড়তে বেগুন পাইকারিতে ৫৫ টাকা কেজি। একই বেগুন আড়ত থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ফেনী বড় বাজারে এলেই তা বেড়ে হয়ে যায় ৭০ টাকা।

একইভাবে শিম পাইকারিতে ৭৫ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। মূলা পাইকারিতে ২০ টাকা কেজি, খুচরায় ৩০ টাকা। ফুলকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে ৬০ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফেনী খাজা আহাম্মদ পৌর তরকারি আড়তের ২০ গজ সামনে ভ্যান গাড়িতে হকারদের তরকারিও বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। যেখানে পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়, পাইকারিতে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকায় খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, শিম পাইকারিতে ৭৫ টাকা বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সবরকম সবজিতে দেখা যাচ্ছে এই দামের অমিল।

সেখানকার ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্যমতে, ফেনীর সকল উপজেলা ছাড়াও আশেপাশের চৌদ্দগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, বান্দরবানের ব্যবসায়ীরা ও এ বাজার থেকে পাইকারি ক্রয় করতে আসেন।

ব্যবসায়ী জাফর উল্লাহ বলেন, মাল নিতে গেলে বস্তা খুলে নেয়া যায় না, খারাপ হলে টাকা শেষ। নষ্টগুলো ক্রেতাদের দেয়া যায় না। ফেলে দিতে হয় কিন্তু টাকা দিয়েই কিনে আনি আমরা। এরমধ্যে লেবার খরচ যায় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। সবমিলিয়ে আমাদের খরচ যা পড়ে তা উঠাতে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

ক্রেতাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বাজার সঠিকভাবে তদারকি করা হয় না, যার জন্য খুচরা ও পাইকারিতে অনেক পার্থক্য। এর ফলে সাধারণ মানুষকেই ভুক্তভোগী হতে হয়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সবকিছুতেই। এখন বাজার মনিটরিং না করলে সাধারণ মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক কাওছার মিয়া বলেন, ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী ক্রয়কৃত মূল্যের চাইতে অস্বাভাবিক দামে পণ্য বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। বেশি দামে বিক্রি করলেও এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ক্রয়ের রশিদ দেখাতে হয়।

তিনি আরও বলেন, উপযুক্ত প্রমাণ না দিতে পারলে ওই ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হয়। তবে শাকসবজির বাজারে চড়া দাম বৃদ্ধির অভিযোগ পেলে অভিযান চালানো হবে।

 

আফ/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More