শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

তোফাজ্জলকে হত্যার আগে পরিবারের কাছে চাওয়া হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
7 minutes read

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জলকে (৩২) পিটিয়ে হত্যার আগে তার পরিবারের কাছে ফোন করে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল।

নিহত তোফাজ্জলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শরীফা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তোফাজ্জলকে আটকে রেখে আমার কাছে ২ লাখ ও আমরা মামা শ্বশুরের কাছে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়।

মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে পিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী নামক এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। এছাড়া তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তোফাজ্জল বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বাংলায় অনার্সমাস্টার্স শেষ করেছেন।

এদিকে মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জলকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পাথারঘাটার চরদোয়ানি এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাসহ সহপাঠী ও বন্ধুরা বলছেন, তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও কখনও কারও ক্ষতি করেননি। এছাড়া তাকে আটকে রেখে স্বজনদের কাছে টাকা দাবি করায় বিষয়টি নিয়ে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার আগে পরিবারের কাছে টাকা দাবির বিষয়ে জানতে সরেজমিনে তার ভাইয়ের স্ত্রীর বাড়িতে গেলে শরীফা আক্তার বলেন, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক রাত ১০টার পরে একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে তোফাজ্জল আমাকে ফোন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ভাবি আমাকে মোবাইল চুরির দায়ে হলে আটকে রেখে আমার কাছে টাকা চায়। এ কথা বলার পরেই ফোন কেটে দেয়। পরবর্তীতে ওই নাম্বার থেকে আবার কল দিয়ে আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আমি তোফাজ্জলের কে হই। পরিচয় বলার পরে তারা আমাকে বলেন, তোফাজ্জলকে মোবাইল চুরির দায়ে আটকে রেখেছি ওকে আপনারা ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এ সময় আমি তাদের বলি, ভাই ওর মাথায় সমস্যা আছে, ও আসলে চোর না। তোফাজ্জল একজন ভালো ছাত্র, অনার্সমাস্টার্স শেষ করা ছাত্র, ওকে আপনারা ছেড়ে দিন। পরে তারা আমাকে বলেন, আপনার কথা রেকর্ড করা হচ্ছে। আপনি দুই লাখ টাকা পাঠান, না হলে তোফাজ্জেলকে আমরা মেরে ফেলবো। তখন তাদের আমি বলি, আমি মহিলা মানুষ, কীভাবে কি করব? আমি তো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। পরে তোফাজ্জলের মামাচাচা যারা ঢাকায় আছেন তাদের মোবাইল নম্বর দিয়ে দেই।

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে টাকা দাবি করলে আমার অভিভাবক যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলি। এ সময় তারা ফোনে আমাকে বলেন, অভিভাবকরা যদি ফোন না ধরে তাহলে কিন্তু খবর আছে। পরে আমি আতঙ্কিত হয়ে চাচাতো ভাশুর এবং এলাকার চৌকিদারকে বিষয়টি জানালে তারা বলেন, তোফাজ্জল হয়ত কোনো পাগলামি করেছে, আপনি ফোন বন্ধ করে ঘুমান। এছাড়া তারা তোফাজ্জলের এক মামার কাছে ফোন দিয়ে আরও ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইল খুললে খবর পাই তোফাজ্জলকে মেরে ফেলা হয়েছে।

শাহ্/ আল/ দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More