চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে, এখনো পানিবন্দী হয়ে আছেন অসংখ্য মানুষ। স্বাভাবিক হয়নি অনেক এলকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি।
বন্যার পানি নামলেও, কাটেনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়ার কয়েক লাখ বাসিন্দার দুর্ভোগ। রাস্তায় জমেছে কাদামাটির স্তর।এখনো ডুবে আছে ফসলি জমি। পানিবন্দী নিচু এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
দেখা দিয়েছে সুপেয় পানি ও খাবারের সংকট। সরকারি সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। বন্যার্তদের জন্য খাবার ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত পর্যটন জেলা বান্দরবান। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে শহরের সাথে রুমা ও থানচির যোগাযোগ। পাহাড় ধসে প্রাণ হারিয়েছে ১০ জন। যান চলাচল সচল করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। ক্ষতিগ্রস্তদেরকে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা।
রাঙামাটিতে এখনো পানিবন্দী হয়ে আছে তিন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায়, শহরের নিচু এলাকা ডুবে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক রাস্তাঘাট ও ব্রিজ–কালভার্ট। এখনো পানিবন্দি হয়ে আছে দুই উপজেলার অন্তত ৭০ হাজার মানুষ।
আল/দীপ্ত সংবাদ