শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

হঠাৎ তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ গেট

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
4 minutes read

 

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ খুলে দিয়েছে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট।

শনিবার (১৭জুন) দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে সকাল ৬টা ও সকাল ৯টায় এই পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ০৬ সেন্টিমিটার ও ৫২ দশমিক ০২ সেন্টিমিটার ।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকে পানি প্রবাহ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এভাবে কমতে থাকলে বিকেলে দিকে পানি কমে যেতে পারে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। তবে ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পানি বাড়া কমার মধ্যে থাকবে। পানি বাড়লে তিস্তাপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বদা প্রস্তুত আছে।

এদিকে হটাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানির শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুপাখি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, হঠাৎ রাতে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আমরা আতংকিত হয়ে পড়েছি। পানির বেড়ে যাওয়া আমরা রাত জেগে ছিলাম। তবে বর্তমানে কিছুটা কমেছে পানি।

একই এলাকার শরীফুল ইসলাম বলেন, এতদিন তো নদীতে পানি ছিল না। হঠাৎ পানি বাড়ছে। ভারত মনে হয় পানি ছাড়ি দিছে। আমাদের যখন পানি লাগে তখন ভারত পানি দেয় না। আর এখন হঠাৎ তারা পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের এলাকায় বন্যা সৃষ্টির পায়তারা করছে।

টেপা খড়িবাড়ী পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, আমার এলাকার কিছু জায়গায় পানি প্রবেশের খবর পেয়েছি। ওসব এলাকাগুলোতে সবসময় খোঁজ খবর রাখছি।

 

ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন / আল /দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More