পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় বিপর্যস্ত চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। ৩ দিন পর বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম–বান্দরবান মহাসড়কে যান চলাচল। এদিকে, সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রাঙ্গামাটির সাজেকে আটকা পড়েছে ৪ শতাধিক পর্যটক।
জলাবদ্ধতার কারণে ৩ দিন বন্ধ থাকার পর, বুধবার দুপুর থেকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম–বান্দরবান মহাসড়কে শুরু হয়েছে যান চলাচল। এদিকে, চট্টগ্রামের রাউজানে বন্যার স্রোতে ডিঙি নৌকাসহ ভেসে যাওয়া ব্যবসায়ী শাহেদ হোসেন বাবুর মরদেহ, ৩২ ঘন্টা পর হালদা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া চন্দনাইশে উদ্ধার করা হয়েছে স্রোতে ভেসে যাওয়া আরও একজনের মরদেহ। নিখোঁজ রয়েছে বেশ কয়েকজন।
কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, রামু ও সদর উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের প্রায় তিনশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে, ঝূঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাসরত বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়িতে বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি হয়নি। কোথাও কোথাও হালকা রোদ উঠেছে। কিন্তু এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বান্দরবান সদরসহ জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা।
খাগড়াছড়িতে দীঘিনালার কবাখালি, বাঘাইহাট ও মাচালং বাজার সড়ক ডুবে যাওয়ায়, সাজেকে আটকা পড়েছে ৪ শতাধিক পর্যটক। এদিকে, জেলার জুরাছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি ও বিলাইছড়ির ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার একর ফসলী জমি।
এদিকে, পটুয়াখালীতে আজও মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কলাপাড়া উপজেলায় ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
আল/দীপ্ত সংবাদ