রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

‘যে কারণে দ্রুত ভোট চায় বিএনপি’

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘যে কারণে দ্রুত ভোট চায় বিএনপি’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার কত দিন থাকবে, কবে নির্বাচন দেবে এ নিয়ে মানুষের মধ্যে যেমন কৌতূহল আছে, তেমনি বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

একএগারোর সরকারের মতো দুই নেত্রীকে মাইনাস করার কোনো কৌশল এ সরকারের থাকতে পারে বলে আশঙ্কা আছে।

সেইসাথে দলের প্রতি জনসমর্থন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জেও রয়েছে বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি খাতে সংস্কারের ঘোষণা দেয়। তবে সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকার করে দিয়ে যাবে, সেটা চায় না বিএনপি।

বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলো নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি করেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপের ঘোষণা না এলে আগামী মার্চএপ্রিল থেকে আন্দোলন কর্মসূচিতে যাবে দলটি।

এর আগে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কারের গতিই ঠিক করে দেবে নির্বাচন কত দ্রুত হবে।

এছাড়া সেপ্টেম্বরে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান ওয়াকউজজামান বলেছিলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে হওয়া উচিত। নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার ওপর।

তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংস্কারের একটা ‘সীমারেখা’ টেনে দিয়েছেন। দলটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষে। এজন্য ‘যৌক্তিক’ সময় দিতে রাজি।

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের বিক্ষোভ: সীমাহীন কষ্ট নগরবাসীর’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত সংঘর্ষ সেইসাথে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের বিক্ষোভের জেরে শহর কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বুধবার সকালে ঢাকায় বিক্ষোভ ও আন্দোলন করেছেন শ্রমিকরা। তাদের দাবিবিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে ব্যাটারির রিকশার চলাচল বন্ধ করা যাবে না।

এদিকে তাদের রাস্তা অবরোধের কারণে মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, আগারগাঁওয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

আবার দুপুরে বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব, বাটা সিগন্যাল, শাহবাগ, পল্টন, প্রেস ক্লাব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

দুই ঘটনায় কোথাও কোথাও যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে রোগী, অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলশিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শিশু, বৃদ্ধ এবং কর্মজীবী নারীরা আটকা পড়েন। সবমিলিয়ে দিনভর সীমাহীন কষ্ট পেতে হয় নগরবাসীকে।

সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাসদস্যরাও যোগ দেন। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে বিকাল সাড়ে ৫টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সংঘর্ষে এক শিক্ষকসহ দেড়শ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ সময় সায়েন্সল্যাবসহ, শ্রমিকদের বিক্ষোভে শহরে আরেক অংশে গণপরিবহণসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে অফিস শেষে ঘরে ফেরা মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রাখেনি সরকার’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’–এর খসড়ায় কিছু সংশোধনী এনে করা অধ্যাদেশের খসড়াটি অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

খসড়ায় সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের যে বিধান প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা বাদ দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

এর আগে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে বলেছিলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আদালত চাইলে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারবেন।

খসড়ায় আদালতকে সেভাবে সরাসরি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, কোনো সংগঠনকে শাস্তি দেওয়ার যদি প্রয়োজন মনে করে, যদি মনে করে শাস্তি দেওয়া দরকার, তাহলে ট্রাইব্যুনাল শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করতে পারবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্ন এলে এই আইনকে অযথা প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা সেই সুযোগ দিতে চাই না। আমরা একদম স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচারটি করতে চাই। সে জন্য এই বিধান বাতিল করা হয়েছে।’

কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য যদি নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হয় বা দাবি ওঠে তাহলে অন্যান্য আইনে নিষিদ্ধ করার বিধান আছে।

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘আর্থিক গোয়েন্দা জালে ৩৪৩ প্রভাবশালী’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার পতনের পর থেকেই ব্যাংক খাতে বড় বড় দুর্নীতির চিত্র বের হয়ে আসছে।

বিশেষ করে শেখ হাসিনার অর্থের প্রধান যোগানদাতারা দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে বের করে বিদেশে পাচার করেছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

এভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের জালে আটকা পড়েছে দেশের আর্থিক খাতের ৩৪৩ প্রভাবশালী।

এর মধ্যে রয়েছেন সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম, বেক্সিমকো গ্রুপ, নজরুল ইসলাম মজুমদারের নাসা গ্রুপ, সামিট গ্রুপসহ প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রীএমপি, আমলা ও ব্যবসায়ী।

এরমধ্যে শুধু এস আলম চার ব্যাংক থেকেই ঋণের নামে বের করে নিয়েছে দেড় লাখ কোটি টাকা। এস আলমের চূড়ান্ত হিসাব এখনো সম্পন্ন হয়নি।

বেক্সিমকো গ্রুপ দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে নামে বেনামে বের করেছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা।

অধিকতর তদন্ত করে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার জন্য এ সময়ে আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট থেকে ২২৫টি তদন্ত প্রতিবেদন দুদক ও সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।

সংস্থাটি ২০টি বড় গ্রুপের বিদেশ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছে। চূড়ান্তভাবে এস আলম ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাভেদের দেশেবিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করে ব্যাংকের অর্থ সমন্বয়ের জন্য বলা হয়েছে। বাকিদের বিষয়েও কাজ চলছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম, ‘মাঠে ছুটছেন নেতারা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নিচ্ছেন নির্বাচনি প্রস্তুতি।

২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি নেতারা মামলা, হামলাসহ নানা কারণে এলাকায় অনিয়মিত ছিলেন। এখন দেশজুড়ে কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে দলটির হাইকমান্ড।

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে তাগিদ দিলেও বিএনপির প্রধান টার্গেট আগামীতে একটি অর্থবহ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

এজন্য প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রত্যেক দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় কর্মসূচি, গণসংযোগ, নানান আচারঅনুষ্ঠান কিংবা জনকল্যাণের নামে চষে বেড়াচ্ছেন নিজ এলাকা।

ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। উঠান বৈঠক করছেন। দলীয় নেতাকর্মীসহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন।

এমনকি গত ১৫ বছর যারা মাঠে ছিলেন নাতারাও এখন ঘন ঘন এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করছেন। এরই মধ্যে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দল গোছাতে চায় বিএনপি।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Hunt for OMS food grows desperate’ অর্থাৎ, ‘ওএমএস খাবারের সন্ধান মরিয়া হয়ে উঠছে মানুষ’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, টানা ২০ মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতি নয় শতাংশের উপরে থাকার কারণে, ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) নিম্ন আয়ের অল্প দামে খাবার কেনার সুযোগ করে দিয়েছে।

কিন্তু ভর্তুকিযুক্ত এই পণ্যগুলো কিনতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহানোর চিত্র উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে।

যেমন যে সময়ে ট্রাক আসার কথা তার চেয়ে কয়েক ঘণ্টা দেরীতে আসে। যেখানে ট্রাক থামার কথা সেখানে না থেমে সামনে এগিয়ে যায়। অপেক্ষমান মানুষদের ট্রাকের পেছনে দৌড়াতে হয়।

রোদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেকে আবার লাইনের নিয়ম মানেন না। লাইন নিয়ে প্রায়শ বাকবিতন্ডা বাধে।

এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েন বয়স্ক ও গর্ভবতীরা। প্রায়শই ঘাটতি বা দেরিতে পৌঁছানোর কারণে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যেতে হয় অনেককেই।

শহরের হাজার হাজার নিম্নআয়ের মানুষ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত টিসিবি ট্রাক সেলস পয়েন্ট এবং ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) দোকানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে।

টিসিবি পণ্য বিক্রেতারা বলেন, এক দিনে প্রায় ৩৫০ জনের কাছে বিক্রি করা যায়। তবে প্রতিদিন প্রায় ৭০০ লোক এই স্পটে জড়ো হয়।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘ছোট প্রতিষ্ঠান বড় দায়িত্বে টিসিবি’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, টিসিবি এখনো বৃহদায়তনে পণ্যের ভোক্তামূল্যে প্রভাব ফেলার মতো প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে পারেনি।

এক কোটি নিয়মিত গ্রাহকের বাইরে নতুন প্রেক্ষাপটে কার্ড ছাড়াও সেবা দিতে হচ্ছে সংস্থাটিকে। কিন্তু এত বড় কর্মযজ্ঞ পরিচালনায় টিসিবির বাজেটও অপ্রতুল।

আবার গুদামজাতের সক্ষমতাও নেই বললেই চলে। যেভাবে গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে তাতে করে এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এত বড় কার্যক্রম পরিচালনা প্রায় অসম্ভব।

সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে আর কোনো প্রতিষ্ঠানও নেই। অথচ বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের বড় হাতিয়ার হয়ে ওঠার সুযোগ ছিল টিসিবির।

ভোক্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যাপ্ত সক্ষমতার অভাব ও কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরি হয়নি সংস্থাটির।

বর্তমানে দেশে সার্বিক ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হয়ে উঠলেও স্বল্পমূল্যে বিপণন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানোয় কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখতে পারেনি টিসিবি।

উল্টো লোকবল ও গুদাম সংকটের কারণে বিপণন পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়াতে পারছে না সংস্থাটি। বর্তমানে টিসিবি চারটি পণ্য স্বল্পমূল্যে বিক্রি করছে। এগুলো হলো ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, চাল ও আলু।

দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। টিসিবির পণ্যের ধরন, পরিমাণ ও বিপণনের আওতা বাড়ানো গেলে তা বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের ভাষ্যমতে, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়তে থাকায় এ মুহূর্তে টিসিবির সক্ষমতা ও কার্যক্রম বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে।

নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Transmission loss keeps rising’ অর্থাৎ, ‘ট্রান্সমিশন লস বাড়ছেই’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্প্রসারণের কারণে গত অর্থ বছরে টানা দ্বিতীয় বছরে ট্রান্সমিশন লস বেড়েছে। পরবর্তী কয়েক বছরে এই ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

গত অর্থবছরে ৩২০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ট্রান্সমিশন লস বা বিদ্যুতের ক্ষতি হয়েছে।

গত ১৪ বছরে, বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ঢাকা থেকে অনেক দূরে নির্মাণ করা হয়েছে, অথচ শিল্প কার্যক্রম মূলত ঢাকার চারপাশে হয়ে থাকে।

এই দূরত্বের কারণে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ দূরত্বে বিদ্যুতের সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়।

বিদ্যুৎ তারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় যা কারেন্ট প্রতিরোধ করে। সঞ্চালন লাইনের দৈর্ঘ্য যত বেশি হবে ক্ষতি তত বেশি হবে।

এমন অবস্থায় ট্রান্সমিশন লস কম হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে,’ বলে আশঙ্কা রয়েছে।

বিগত বছরে, পিজিসিবি জেনারেশন পয়েন্ট থেকে ৯২ হাজার ৯০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ পেয়েছে এবং ৮৯ হাজার ৯৯৬ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি করেছে।

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘বাজার ছেড়েছে ১ লাখ বিদেশি বিও’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের পুঁজিবাজারে গত পাঁচ বছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন বেশি।

এ সময়ে তারা পুঁজিবাজার থেকে ৭৫০০ কোটি টাকা মুনাফা তুলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আস্থার সংকটে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন এক লাখ এক হাজার বিদেশি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবধারী।

এদিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে আতঙ্কিত হয়ে দেশি বিনিয়োগকারীদের একাংশও শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।

এতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বেশির ভাগ সময় পুঁজিবাজারে দরপতন ঘটেছে। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ কোটি টাকার বেশি।

বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রা বিনিময় হারে অস্থিতিশীলতা, রাতারাতি নীতি পরিবর্তন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে।

ফলে তারা শেয়ার বিক্রির দিকে ঝুঁকেছেন। নীতিগত স্থিতিশীলতা ও আস্থা পুনরুদ্ধার না হলে বাজারের এই সংকট আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

অথচ পার্শ্ববর্তী শ্রীলঙ্কার পুঁজিবাজারে বিদেশিদের অংশগ্রহণ সাত শতাংশ, পাকিস্তানের বাজারে তিন দশমিক সাত শতাংশ এবং ভিয়েতনামের পুঁজিবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগ আট দশমিক ছয় শতাংশ।

তথ্য সূত্র: বিবিসি

 

সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More