প্রকৃতিতে ঋতুবদলের আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। গত কয়েকদিন থেকে শীতের অনুভূতি বোঝা যাচ্ছে । সকালে বাইরের আবহাওয়াও বেশ ঠান্ডা। সব মিলিয়ে সকালে লক্ষ্য করা যাচ্ছে শীতের উপস্থিতি। আশ্বিনের বিদায়ের পর কার্তিকের শুরুতেই শীতের পরশ ছুঁয়ে গেছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে। মধ্যরাতের হিম হিম বাতাসে শরীরে ঠান্ডা লেগে যায়।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোরে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়; কুয়াশাচ্ছন্ন পুরো ফসলের মাঠ ও রাস্তা ঘাট। ভোরের কুয়াশার সঙ্গে দেখা যায় শিশির ভেজা ঘাস ও ধানের শীষে কুয়াশা ভেজা পানি। ভোরের আলোয় চকচক করছে শিশির বিন্দু। কুয়াশাজড়ানো পুরো প্রকৃতি।
জেলা সদরের বড়বাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব আমবাড়ি গ্রামের লতিবুর রহমান মিম বলেন; শীত অনুভূতি শুরু হয়ে গেছে, প্রতিদিন ফজরের নামাজ শেষে হাঁটতে বের হই। তবে এ বছরের মধ্যে আজকের সকালটাকে একটু অন্য রকম মনে হলো। কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা পড়ে গেছে। গত ২–৩ দিন থেকে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ঠান্ডা অনুভব হয়। এখন তো মধ্যে রাতে ঘুম থেকে উঠে আবার পাতলা কাঁথা গায়ে দিতে হয়। একই এলাকার হায়দার আলী নামের এক সুপারির ব্যবসায়ী বলেন, এখন কুয়াশা পড়ছে সেই কিছুটা ঠান্ডাও লাগছে। খুব বেশি ঠান্ডা পড়েনি আবার দিনের বেলায় একটু গরমের অস্তিত্ব খুঁজে পাই।
অন্যদিকে দেখা গেছে, শীতের প্রস্তুতি হিসেবে শীত আসার প্রায় এক মাস আগে থেকেই কর্মব্যস্ততা বেড়ে গেছে লেপ–তোশকের কারিগরদের। এছাড়াও কাপড় ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে শীতের কাপড় আনতে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রতিদিন সকালে এ উষ্ণ শীতল আবহাওয়া উপভোগও করছে লালমনিরহাটে মানুষ। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ২৩ ডিগ্রির ঘরে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে প্রতি বছর শীতের তীব্রতা মোটামুটি থাকে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্রের প্রস্তুতি থাকবে।