ইসরাইল ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ চলমান সহিংসতা কমাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে একমত হয়েছেন। সহিসংতা রোধে দু–পক্ষই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জর্ডানের আকাবা বন্দর এলাকায় রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর উভয় পক্ষ যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এ বৈঠকে মার্কিন এবং মিশরীয় কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বহু বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা প্রধানরা একত্রিত হন। বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতেও একমত হয়েছে দুই দেশ।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইল আগামী চার মাস নতুন করে বসতি স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা বন্ধ রাখবে এবং আগামী ছয় মাস নতুন কোনো বসতি স্থাপনের অনুমোদন দেবে না। এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না বলে মনে হচ্ছে। এছাড়া তিন থেকে ছয় মাসের জন্য সব ধরনের একতরফা পদক্ষেপ বন্ধে অবিলম্বে কাজ করার জন্য যৌথ প্রস্তুতি এবং প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।’
বৈঠক চলাকালীন অধিকৃত এলাকায় দুই ইসরায়েলিকে গুলি করে হত্যা করেন বন্দুকধারী এক ফিলিস্তিনি। রবিবার এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বসতি স্থাপনকারীদের একটি বড় দল একই গ্রামে প্রবেশ করে এবং পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। তারা সেখানকার গাছ ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফিলিস্তিনি সূত্রে জানা গেছে, অন্তত ১৫টি বাড়ি ও বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু পরিবারকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, এই ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাপন্থি গোষ্ঠী হামাস বলেছে, ‘অর্থহীন’ আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) নিন্দা করেছে।
অনু/দীপ্ত সংবাদ